আমার ঢাকাবাসী দাফনের পয়সা দিতে পারে না। আমি লাশ দাফন ফ্রি করে দিয়েছিলাম। আজ আজিমপুরে গিয়ে দেখেন একটা লাশ নামালে টিকিট লাগে। বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংসবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
খোকন বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র তাপস তার নগর পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থ হয়েছেন। তার এ ব্যর্থতা ঢাকতে প্রায়ই আমার প্রতি বিভিন্ন হয়রানি ও বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, দুর্নীতি দমন কমিশনের এমন কর্মকাণ্ড তাপসের প্ররোচণায় সংঘটিত হয়েছে।
সাঈদ খোকন বলেন, তিনি (তাপস) নগর পরিচালনা করতে পারে না, বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এতে আমার কি? আমি বাধা নাকি? আমাকে মেরে বড় হতে হবে কেন?
ডিএসসিসির সাবেক মেয়র বলেন, এই শহরের জন্য দীর্ঘদিন আমি ও আমার পরিবার ভূমিকা রেখেছে। আমার পরিবারের একজন সদস্য ঢাকার পঞ্চায়েত সরদার ছিলেন। আমার বাবা ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তার স্ত্রী অর্থাৎ আমার বৃদ্ধ মায়ের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। আমার ছোট বোনের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এভাবে তাঁরা লাঞ্ছিত হবেন- এটা ঢাকাবাসী মেনে নেবে না।
খোকন বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র তাপস তার নগর পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থ হয়েছেন। তার এ ব্যর্থতা ঢাকতে প্রায়ই আমার প্রতি বিভিন্ন হয়রানি ও বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, দুর্নীতি দমন কমিশনের এমন কর্মকাণ্ড তাপসের প্ররোচণায় সংঘটিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা রক্ষিত রয়েছে। দুদক তদন্ত করলে আমার ও আমার পরিবারের কোনও আপত্তি নেই। আমি অ্যাকাউন্টগুলো চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
সাঈদ খোকন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে ও তার পরিবারকে কোনও ধরনের নোটিশ দেয়নি। কোনোরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমি মনে করি, এমন কর্মকাণ্ড আমার এবং আমার পরিবারের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।
ভিডিও...