আর্কাইভ থেকে বিএনপি

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাত্তার উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন নেতাদের সঙ্গে

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাত্তার উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন নেতাদের সঙ্গে
সরাইল ও আশুগঞ্জ নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার শুরু করলেন বিএনপির থেকে পদত্যাগী আলোচিত প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর হাজী মকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে এই প্রচার শুরু করেন পাঁচবারের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পাকশিমুল ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক ও সুধী সমাজের ব্যানারে পাকশিমুল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা। সংসদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর এই প্রথম গতকাল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ উপজেলায় আসেন আবদুস সাত্তার। আশুগঞ্জ থেকে নৌপথে সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুরের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে নিজের বংশের ও গ্রামের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন। কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রচারে কোনো নির্দেশনা আছে কি না এমন প্রশ্নে একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করলেও কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোতে বিএনপি থেকে বহিষ্কার সাবেক এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার জয়ের পথ পরিষ্কার হচ্ছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন নেতার পর বুধবার সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য। এর আগে গেলো ১৪ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও শাহজাহান সাজু। এর ফলে আবদুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়ে গেলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোতে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা সাবেক এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার জয়ের পথ আরও পরিষ্কার হলো মনে করছেন ভোটাররা। এদিকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়টি বিতর্কিত করতে সরকার সুকৌশলে আবদুস সাত্তারকে উপনির্বাচনে আনার ছক কষেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়টি বিতর্কিত করতে আবদুস সাত্তারকে নির্বাচনে আনা হয়েছে। সরকার সেটা সফলভাবে করেছে। তাকে চাপ দিয়ে এই নির্বাচনে আনা হয়েছে। সংসদ থেকে পদত্যাগের পর আবদুস সাত্তার একই আসনের উপনির্বাচনে লড়তে চাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গেলো ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিএনপি | বহিষ্কৃত | সাত্তার | উপনির্বাচনে | ক্ষমতাসীন | নেতাদের | সঙ্গে