আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হওয়ার পথে এমন খবর নিজেই জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন- লাখ লাখ টাকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে পঙ্গুত্ব কিনে বাড়ি ফিরলাম। শুক্রবার দুপুরে হোঁচট খেয়ে পড়ে হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম শুক্রবার রাতেই। এক্সরে করে দেখতে চেয়েছিলাম হাঁটুর লিগামেন্টে কিছু হলো কি না। হিপ জয়েন্টে কোনও ব্যথা ছিল না আমার। হিপ জয়েন্ট ডাক্তাররা পরীক্ষা করেও দেখেননি। কিন্তু এক্সরে করে বলে দিলেন আমার হিপ ভেঙ্গেছে, হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। তারপর তো ডাক্তারদের ওপর শতভাগ বিশ্বাস, আমার অজস্র নির্বুদ্ধিতা, আমাকে ওদের ভিক্টিম করেছে।
তসলিমা এঘটনার পর তার ফেসবুকে আরো লিখেছেন- ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি এতকালের আমার মেডিক্যাল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙ্গেছে। আমার জীবনে কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিট্মেন্টের নামে আমার হিপ জয়েন্ট কেটে, ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবার নিজেকে নিয়ে আরেকটি স্ট্যাটাস দিলেন তিনি।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
মৃত্যুই জীবনের সমাপ্তি। কিন্তু মৃত্যু আমার জীবনে কোনও সমাপ্তি আনেনি শনিবার দুপুরবেলায়। শনিবার দুপুরবেলায় আচমকা কিছু লোক অন্ধকার থেকে উঠে এসে আমার চোখ বাঁধলো প্রথম, তারপর হাত, তারপর দুটো পা। তারপর আরও গভীর অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে আমার খুলি খুলে মস্তিষ্ক বের করে নিল, বুক খুলে হৃদপিণ্ড। আমি এখনও অন্ধকারে পড়ে আছি, তবে আমি শ্বাস নিচ্ছি এখন, কারণ ফুসফুস দুটো এখনও বেঁচে আছে। এখনও হাত দুটো শূন্যে মেলে দিতে পারছি, এখনও চিৎকার করতে পারছি, বলতে পারছি -- কার কী ক্ষতি করেছিলাম?