এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতে আরও তিনটি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ভারতীয় বিমানবাহিনী তিনটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।
আজ মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিওরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে দুই বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, ওই বিমানগুলোর মধ্যে একটি হলো সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান অপরটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান।
ভয়াবহ সংঘর্ষের পর বিমান দুটি গোয়ালিয়ার থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের মোরেনার পাহাড়গড়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় সুখোই-৩০ বিমানে দু’জন পাইলট ছিলেন। মিরাজে ছিলেন একজন পাইলট।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুখোইয়ের দুই পাইলট আহত হলেও সুরক্ষিত আছেন। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি মিরাজ ২০০০ এর পাইলটের। তাকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে বায়ুসেনার চপার। পুরো ঘটনায় কোর্ট অব এনকোয়ারি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
এক টুইটে জানানো হয়েছে, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আপাতত বায়ুসেনার মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে বিমানবাহিনী সূত্রে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। বিমান দু’টির ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ করা হচ্ছে। ব্ল্যাক্সবক্সের খোঁজ পাওয়া গেলেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। ভেঙে পড়া দু’টি বিমানের মধ্যে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরত্ব ছিল। তাই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকালে আরেকটি দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভরতপুরে। মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে একটি চার্টার্ড বিমান। ভতরপুরের একটি ফাঁকা মাঠে ভেঙে পড়ে বিমানটি।
পরে ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্র জানায়, যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেটি বায়ুসেনার বিমান। ওই বিমানে কতজন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।
ভরতপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার বলেন, সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১৫ মিনিটের মধ্যে বিমান ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছিলাম। এখানে এসে দেখতে পাই যে সেটা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। ধ্বংসস্তূপ দেখে বোঝা যাচ্ছে না যে এটা সাধারণ বিমান নাকি যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনার আগেই পাইলটরা বিমান ছেড়ে দেন নাকি তারা বিমানের মধ্যেই আছেন, তা এখনও জানতে পারিনি। এদিন রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর রয়েছে। তার আগে পর পর বিমান দুর্ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।