যেকোনো প্রশ্ন লেখলেই পেয়ে যাবেন তার উত্তর। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই কথোপকথন ব্যবস্থা চ্যাট-জিপিটি এখন প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে। বলা হচ্ছে, এই সুবিধা নষ্ট করবে মানুষের সৃষ্টিশীল ক্ষমতা। তবে ভিন্নমত রয়েছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।
এখন বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির চলমান অগ্রযাত্রায় আলোচনায় আছে চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার বা চ্যাটজিপিটি। যা দেশের প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্টদেরও আগ্রহের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে।
এই চ্যাটবট ব্যবস্থাটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হাল-আমলের সবচেয়ে দ্রুতগতির কথোপকথন বা আলোচনাভিত্তিক একটি প্লাটফর্ম। চ্যাটজিপিটি'র সক্ষমতা নিয়ে সফটওয়্যার নির্মাতারা বলছেন, যেকোনো বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা অর্জন এবং সময় বাঁচিয়ে দেয়া এই চ্যাটবটটি মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না।
এ প্রসঙ্গে প্রলিফিক অ্যানালাইটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসালাতুজ্জামান বলেন, আমার যদি কোনো বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সোর্স থেকে বিভিন্ন তথ্য নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য চ্যাটবট থেকে সহজেই তথ্য নিয়ে আমরা সেগুলো আরও সুন্দর করে সাজিয়ে লিখতে পারি। ফলে মানুষের সৃষ্টিশীল ক্ষমতা নষ্ট হবে না। মানুষের সময় বাঁচবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব যান্ত্রিক সিস্টেমের ব্যবহারে সর্বোচ্চ সচেতন হতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এই ধরনের চ্যাটবট ব্যবহারের ফলে যারা মুদ্রণ বা লেখনিজনিত অন্যান্য সাধারণ কাজ করছেন, তাদের আর দরকার হবে না। তারা তাদের চাকরি/কাজ হারাবে। এই মানুষগুলোর কি হবে সেটাও ভাবতে হবে।
গেলো বছরের নভেম্বরে উম্মুক্ত হওয়া চ্যাট-জিপিটি প্রায় ৫৭০ গিগাবাইট তথ্য সমৃদ্ধ। যার শব্দভান্ডার ৩০০ বিলিয়নেরও বেশি।