আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

গাইবান্ধায় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীর তীব্র স্রোতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি জমি।

ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির কারণে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, ভুষিরভিটা, রতনপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী, গলনা ও জিয়াডাঙ্গা গ্রামে সবচেয়ে বেশী ভাঙন দেখা দিয়েছে।  এছাড়াও ফুলছড়ি সদর, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা এলাকায় ভাঙনের গতি বেড়েই চলছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা কেটে নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ। আশ্রয় নিচ্ছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।

মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার, ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি, গাছপালাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এ পর্যন্ত যমুনা নদীর ভাঙনে ২ শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর, বসতভিটা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা থেকে ভুষিরভিটা পর্যন্ত ৬৫০ মিটার এলাকা ভাঙন রোধের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। ওই এলাকায় ৬৫ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এছাড়া সাঘাটায় ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

মুনিয়া

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাইবান্ধায় | যমুনাব্রহ্মপুত্রে | পানি | বৃদ্ধি | অব্যাহত