বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক দুর্দশার সময়ে একটি দোকানে মিলছে ২ টাকার চা পাতা, ১ টাকার লবণ, ৪৫ টাকায় ৩ পিস ইলিশ মাছ, ১০ টাকায় চাকের মধু। এমনকি ওই দোকানে ১০ টাকায় মিলছে কয়েক পিস গরুর মাংস, ৫ টাকায় ছোট কাপে কোমল পানীয়।
মধ্য ও নিম্নবিত্তরা প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প টাকায় বাজার করতে পারবেন দোকানটিতে। পাটওয়ারী স্টোর নামের দোকানটির অবস্থান দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকার ট্রান্সমিটার মোড় সংলগ্ন গলিতে। দোকানের মালিক শাহাদাত হোসেন জুয়েল।
দোকানের বিভিন্ন স্থানে লেখা- ‘প্রয়োজন যতটুক, কিনুন ঠিক ততটুকুই, নো প্রবলেম।’ ‘চাহিদা অনুযায়ী সকল পণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বিনা সংকোচে বিক্রয় করা হয়। নো প্রবলেম’।
জুয়েল জানান, শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন। এর আগে ২০১৯ সালে করোনার আগে যখন পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছিল, তখন হালিতে পেঁয়াজ বিক্রি করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, অনেকে বেশি পণ্য কিনে অপচয় করেন। কিন্তু এভাবে পণ্য কিনলে অপচয় কমবে। মানুষ ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হবে। এভাবে বাজার করা নিয়ে অনেকেই হয়তো টিটকিরি, হাসি মশকরা করে। প্রতিদিনের বাজার প্রতিদিন করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই।
এলাকাবাসীরা জানান, বিগত তিন বছর ধরে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করছে দোকানটি। এলাকায় নিম্ন আয়ের লোকজনের কাছে দোকানটি আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা কম টাকায় টিফিনের খাবার কিনতেও দোকানটিতে ভিড় করছে।
দোকানে প্যাকেট করে সাজানো রয়েছে ৫ টাকার শুকনা মরিচ, ৫ টাকার ডাল, ২ টাকার কাঁচামরিচ, ১০ টাকার সয়াবিন তেল, ৫ টাকায় দুই পদের ডাল। সব ধরনের কোমল পানীয়, দুধ, জুস ও চা ৫ টাকায় পান করার ও সুযোগ আছে এই দোকানে।