সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে তুরস্ক থেকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা সরবরাহ। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ত্রুটিপূর্ণ আবহাওয়া ও লজিস্টিক সমস্যার কারণে সহায়তা সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানান জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র মাদেভি সান-সুওনা।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ওসিএইচএ মুখপাত্র বলেন, সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি সড়কের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া কিছু এলাকা বেশ দুর্গম। সবকিছু মিলিয়ে কিছু লজিস্টিক সমস্যা দেখা দেয়ায় আপাতত আমাদের সহায়তা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কখন থেকে পুনরায় শুরু করতে পারবো তাও স্পষ্ট করে বলতে পারছি না।
সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর সোয়া চারটায় কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ।
এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজারে পৌঁছেছে। এদিকে, এ ভূমিকম্পের ফলে ১২ বছরের গৃহযুদ্ধের শিকার সিরিয়ায় আবারও দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এখনও ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধার কাজ। নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি যেন থামছেই না।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
এদিকে, শীতকালীন আবহাওয়া, তুষারপাত ভূমিকম্পে আহত ও গৃহহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) এক কর্মকর্তা ওরহান তাতার মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮১ বলে জানান। আরও ২০ হাজার ৪২৬ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।