আর্কাইভ থেকে ফুটবল

মেসির জন্য প্রাণ দিতে পারি: মার্টিনেজ

মেসির জন্য প্রাণ দিতে পারি: মার্টিনেজ

মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান। এর মধ্যেই জীবনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে আর্জেন্টাইনদের। যদি তিনি দেশটির জাতীয় দলের ফুটবলার হন তাহলে তো আরও বেশি। আর ফুটবলারটি যদি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ হয়? তাহলে তেমন কিছুই থাকে না বলার।

২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে মার্টিনেজের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে তিনটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালেও খেলেছেন দারুণভাবে। নজর কেড়েছেন পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই।

শিরোপা জেতার এক সপ্তাহ পর আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম ওলেকে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক। তিনি বলেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসির জন্য মরতেও পারবেন। মেসির কাছ থেকে ইনস্টাগ্রামে পাওয়া 'ফেনোমেনন' তকমাও বিশেষ কিছু মার্টিনেজের জন্য।

তিনি বলেন, “মেসি আমার সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখল, 'সে একজন ফেনোমেনন।' এরপর আমি কীভাবে ফাইনালের মতো জায়গায় পারফর্ম করা ছাড়া থাকতে পারি? আমি তাকে আমার জীবন দিয়ে দিতে চাই। আমি তার জন্য মরে যেতে চাই। আমি আরও চার-পাঁচ মাস আগে বলেছিলাম- আমি চাই সে আমার আগে কোপা জিতুক। এবং এটা সত্যি, বাকি সব আর্জেন্টাইনের মতোই। আমার মনে হয় ব্রাজিলিয়ানরাও শুধু মেসির জন্য চেয়েছিল আমরা কোপা জিতি।”

ইনস্টাগ্রামে তাকে নিয়ে মেসির পোস্ট সম্পর্কে মার্টিনেজ বলেন, 'আমি ভাষাহীন হয়ে পড়েছিলাম এটা দেখার পর। সেখানে কিছু বাক্য ও ছবি ছিল যা বাকিটা জীবন সঙ্গে রাখা যায়। অথবা সে আমাকে জড়িয়ে আছে ওই ছবিটা ফ্রেমে আটকে রাখা যায়। একই ব্যাপার ইন্টারভিউতে যা বলেছে অথবা ইনস্টাগ্রামে লিখেছে। এটা আমাকে ফাইনালে শক্তি দিয়েছে এবং আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করেছে।'

সেমিফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে কলম্বিয়ার ফুটবলারদের তিনটি শট ফিরিয়ে দেন তিনি। তাতে প্রশংসায় ভেসেছেন মার্টিনেজ। সঙ্গে আলোচনায় এসেছে আরও একটি বিষয়। প্রতিটি পেনাল্টি শটের আগেই কলম্বিয়ার ফুটবলারদের বিভিন্ন কথা বলে ভড়কে দিচ্ছিলেন মার্টিনেজ।

এ নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি যা বলেছিলাম, তা পৃথিবীর বাইরে কিছু না। ক্রমাগত পেনাল্টি নেওয়া ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছিলাম। আমি কখনো এমন দেখিনি, তবে নিজে করেছি। শুধু প্রতিপক্ষকে ভয় ধরাতেই নয় নিজেকে রোমাঞ্চিত ও অনুপ্রাণিত করতেও।'

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মেসির | জন্য | প্রাণ | পারি | মার্টিনেজ