আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ম্যাচ জয়ে পাকিস্তানের সেঞ্চুরি

টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ম্যাচ জয়ে পাকিস্তানের সেঞ্চুরি

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ম্যাচ জয়ের সেঞ্চুরি করলো পাকিস্তান। গতকাল সিরাজ নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে পরাজিত করে এ রেকর্ড গড়ে বাবর আজমের দল। সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯৮ জয় নিয়ে অবস্থান করে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ রানে জয়ের পর অপেক্ষা ছিল আরেকটি জয়ের। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরে যাওয়ায় সেটি দেরি হয়। পরে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে পরাজিত করে এ রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সিরিজও জিতে নেয় ২-১ এ।

রোববার রাতে টস জিতে ফিল্ডিং করে পাকিস্তান। পাকিস্তান বোলারদের সামনে আট ওভারে ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ডেভিড মিলারের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৪ রানে থামে। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ফলে মিলারের অপরাজিত ৮৫* রান ও তাবারিজ শামসির ৪ উইকেট দুটোই বৃথা যায়।

সফরকারীদের দেয়া ১৬৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে এদিন ইনিংস ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে আসেন হায়দার আলী। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫১ রান যোগ করে এই জুটি। পরে ব্যক্তিগত ১৫ রানে তাবরিজ শামসির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন হায়দার। দলীয় ৭২ রানে একই বোলারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩০ বলে ৫ চার আর ২ ছয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।

এরপর হুসাইন তালাতও দ্রুত ফিরে যান। পরে আসিফ আলীকে নিয়ে এগুতে থাকেন বাবর আজম। ৫ চার আর ১ ছয়ে ৩০ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে বোল্ড আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে হাসান আলী ও নওয়াজ আলীর অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে আর কোনো বিপদ না বাড়িয়ে সহজ জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের দাপটে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় উইকেট হারায় ২৪ রানে। প্রথমে রেজা হেনড্রিক্স এবং পরে স্মুটস, দুজনকেই ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ। এরপর জানেমান মালান এবং পিটে ভন কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ৪১ থেকে ৪৮ রানেই নেই হয়ে যায় আরো ৪ উইকেট।

নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করা প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরি ক্লাসেন এবং ওপেনার জানেমান মালানের উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত জাহিদ মাহমুদ। আর দুই রান পরেই অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইওকে ফেরান আরেক লেগস্পিনার উসমান কাদির।

৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ডেভিড মিলার এবং ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস ১৭ রানের জুটি গড়েন। ১১তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন অভিষিক্ত জাহিদ মাহমুদ। দলীয় ৬৫ রানে এই লেগ স্পিনারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন প্রিটোরিয়াস।

তবে অষ্টম উইকেটে ডেভিড মিলার ও ফরটুইনের পার্টনারশিপে শতরানের গন্ডি পার করে প্রোটিয়ারা। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান যোগ করার পর ফরটুইন দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন। তবে একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যায় ডেভিড মিলার। ৩১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করে মিলার শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৮৫* রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ ছয় আর ৫ চারে তার অনবদ্য ইনিংস সাজিয়েছিলেন এই বামহাতি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টিটোয়েন্টির | ইতিহাসে | ম্যাচ | জয়ে | পাকিস্তানের | সেঞ্চুরি