Connect with us

ক্রিকেট

বড় হার দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ নিগার বাহিনীর

Avatar of author

Published

on

লক্ষ্য ছিল নারীদের টি-২০ বিশ্বকাপে কমপক্ষে একটি ম্যাচে জয়। কিন্তু আগের তিন ম্যাচে হারের পর শেষ ম্যাচেও একই আশা নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই আশা আর পূরণ হয়নি। নিগার সুলতানার দল চার ম্যাচেই বড় হার দেখেছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।

এ নিয়ে ২০১৪ সালের পর থেকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে কোনো জয় ছাড়াই মাঠে ছেড়েছেন দেশের টাইগ্রেসরা। একইসঙ্গে তারা টানা ১৬ ম্যাচে হারার নজিরও স্থাপন করেছেন।

বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করেছিল বাংলাদেশ। দুটোতেই শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া তাদের বড় ব্যবধানে হারায়। তৃতীয় ম্যাচে টসে হারায় হয়তো আগে ব্যাট করার সুযোগ পায়নি। তবে ম্যাচের ফল বদলায়নি। নিউজিল্যান্ড সেই ম্যাচে নিগারদের হারায় ৭১ রানে। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচেও টস জিতে বাংলাদেশ। কিন্তু আগে ব্যাট করে প্রতি ম্যাচের ন্যায় তাদের ভঙ্গুর ব্যাটিং জয়ের স্বপ্ন দেখার মতো টার্গেট দিতে পারেনি। তাদের ১১৩ রানের ছোট পুঁজি প্রোটিয়ারা কোনো উইকেট না হারিয়েই পেরিয়ে যায়। তাদের হাতে ছিল আরও ১০ বল।

দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন শুরুতেই হতাশ করেছেন। আফ্রিকান পেসার মারিজানে কাপকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুর্শিদা। মিড অফে দারুণ ডাইভে ক্যাচটি নেন নাদিন ডি ক্লার্ক। বাজে ফর্ম কাটানো মুর্শিদা ৬ বলে শূন্য রানেই ফিরেছেন। এরপর দুই ওভারে মাত্র ৭ রান নেওয়ার পর ধৈর্য আর কুলোয়নি ব্যাটারদের। ষষ্ঠ ওভারে শবনম ইসমায়েলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শামিমা। পাওয়ার প্লেতে তাদের সংগ্রহ ২৩ রান।

Advertisement

পরবর্তীতে সোবহানা মুশতারিকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। কিন্তু ৩০ বলে ২৭ রানে ফেরেন মুশতারি। তার সুইপ করার চেষ্টা আগেই খেয়াল করেছেন বোলার মালাবা। এরপর নিগার স্কোর বাড়াতে থাকেন স্বর্ণা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে। দুজনের জুটিতে ২১ বলে ২৫ রান আসে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ নিগার ৩০ রান করেন।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে ম্যারিজেন ক্যাপ ও আয়াবোঙ্গা খাকা ২টি এবং ইসমায়েল ও মালাবা নেন একটি করে উইকেট।

ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। যেন তাদের কোনো তাড়া নেই। ১ ছক্কা ও ৭ চারে তার ৫৬ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সামনে অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। আরেক ওপেনার তাজমিন ব্রিটসও কম যাননি। ৪ চারে ৫১ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। দুজনকেই আউট করার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফিল্ডারদের কল্যাণে ব্রিটস ক্যাচ আউট এবং ভলভার্ট রান আউটের শঙ্কা থেকে বেঁচে যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ম্যাচটা ছিল কার্যত নক আউট। জিতলেই সেমিফাইনাল। ১৩ বল হাতে রেখে তুলে নেওয়া জয়ে সেটাই নিশ্চিত করেছে সিনা লিসের দল। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল। তার আগেই সেমিতে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ড।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ক্রিকেট

ক্যান্সার-যোদ্ধা মা’কে নিয়ে হৃদয়ের চিঠি

Published

on

আজ বিশ্ব মা দিবস। নেটিজেন থেকে শুরু করে সু-পরিচিত অনেকেই মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন দিন জুড়ে। এখানে যুক্ত হলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। হৃদয়ের গল্প অবশ্য কিছুটা আলাদা। ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এই ক্রিকেটারের মা। সেখান থেকে সেরে ওঠার গল্প বেশ খানিকটা আবেগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলা চিঠি আকারে প্রকাশ করেছেন হৃদয়।

হৃদয়ের জন্মদিনের দিন মায়ের ক্যান্সারের কথা জানা যায়। সেই কথা দিয়েই শুরু করেছেন লেখাটি। পুরো চিঠিতে নিজের অনুভূতির কথা খুব তীব্রভাবে প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি মায়ের প্রতি তার ভালোবাসার কথাগুলো জানিয়েছেন।

হৃদয়ের পুরো খোলা চিঠিটি ছিল এমন:

‘আমার জন্মদিনের দিন প্রথম খবর পাই তোমার ক্যান্সার। সেদিন প্রথম বুঝতে পারলাম পুরো পৃথিবীর বিনিময়ে হলেও আমার তোমাকেই দরকার। এর পর তোমার সেই কষ্টের পুরোটা জার্নি ছিলো আমার চোখের সামনে। তোমার ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে কতো চোখের পানি ফেলেছি তার হিসাব নেই।

তুমি ঘুম থেকে উঠে আমার চোখ ভেজা দেখবে বলে নিজেই আবার সেই চোখের পানি মুছেছি। তুমি ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছো, আমি প্রতিনিয়ত তোমাকে হারানোর ভয়ের সাথে লড়াই করেছি। কিন্তু এই শক্তির পুরোটাই যে পেয়েছি তোমাকে দেখে মা।

Advertisement

তোমাকে দেখে বুঝতে শিখেছি একজন নারীর কতোটা ত্যাগ করতে হয়, একজন মায়ের কতোটা পরিশ্রম করতে হয়, একজন মেয়ের কতোটা সৎ হতে হয়। তুমি যে আমার সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!!

পরকালে মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত হলেও, এ দুনিয়ায় তোমার হাসিতে আমি বেহেশত দেখেছি। তুমি হাসি-খুশি থাকো, সুস্থ থাকো, প্রতিটি মোনাজাতে এটাই আমার সবথেকে বড় চাওয়া।

মা দিবসে তোমাকে এই খোলা চিঠিতে বলছি, ভালোবাসি মা, যেমনটা আর কখনো কাউকে বাসতে পারবো না। তোমার দোয়া ছাড়া আমি অসহায়, তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।

ইতি তোমার বাবা’

 

Advertisement

এম/এইচ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউটের শিকার হলেন জাদেজা!

Published

on

বেশ কয়েক বছর পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট দেখা গেল। আজ (রবিবার) দিনের প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের ১৪১ রান তাড়া করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচটি জিতেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। এরমধ্যে গায়কোয়াড় ও জাদেজার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউটের শিকার হয়েছেন জাদেজা।

সাধারণত ব্যাটার যখন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষ ফিল্ডারকে আউট করানোর চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে চান বা কোনো বাঁধা প্রদান করেন, তখন অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউটের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। আইপিএলে এমন ঘটনা ঘটেছিল সর্বশেষ ২০১৯ সালে। সেবার অমিত মিশ্র এই আউটের শিকার হন। তারও আগে ২০১৩ সালে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা ইউসুফ পাঠানের কাছ থেকেও এমন ঘটনা পাওয়া যায়।

জাদেজার এই আউট অবশ্য চেন্নাইয়ের ম্যাচে বাঁধা হয়নি। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জিতে নিয়েছে তাঁরা। পাশাপাশি এখন টেবিলের ৩ নম্বর দল চেন্নাই। অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউটের ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ১৬তম ওভারে এসে। বোলিংয়ে ছিলেন আভেশ খান। স্ট্রাইকে তখন জাদেজা, থার্ডম্যানের দিকে ব্যাট চালিয়ে দৌড় শুরু করলেন তিনি। তবে নন-স্ট্রাইকে থাকা গায়কোয়াড়ের থেকে খুব বেশি সমর্থন পাওয়া যায়নি। দৌড় দেবেন কি দেবেন না, তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এরমধ্যে অবশ্য জাদেজা অন্যপ্রান্তের দিকে ছুটে গেছেন, তখন রাজস্থান উইকেটরক্ষক সানজু স্যামসনের ছুঁড়ে দেওয়া বল গায়ে এসে লাগে।

রাজস্থানে আবেদন করে বসে। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখেন এবং জানিয়ে দেন, জাদেজা ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি স্টাম্পে যাওয়া আটকেছেন। জাদেজা অবশ্য এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি হতে পারেননি। তাকে ফিরতে হয়েছে ৭ বল খেলে ৫ রানে।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

উইলিয়ামসের শুরু ও শেষ বাংলাদেশের মাটিতে

Published

on

বাংলাদেশের মাটিতে ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস। সীমিত ওভারের এই সংস্করণের শেষও টানলেন বাংলাদেশের মাটিতেই।  চালিয়ে যাবেন অন্য দুই সংস্করণ। আজ (রবিবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো হারলেও শেষ ম্যাচে কিছুটা সান্ত্বনা লাভ করতে পারল সফরকারী দল।

উইলিয়ামসের জন্য কিছুটা আনন্দিত হওয়ার মতো ব্যাপার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে খুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। সেটি জিম্বাবুয়ের জন্য ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। এবার আর হারের স্বাদ নিতে হলো না জিম্বাবুয়েকে, উইলিয়ামস। অন্তত নিজের শেষ ২০ ওভারের ম্যাচে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

উইলিয়ামসের বয়স ৩৭ বছর। ১৮ বছর ধরে খেলেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। দল জিতেছে, উইলিয়ামস বল হাতে ১ ওভারে ১২ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি। ব্যাট করার সুযোগ হয়নি তার। জিম্বাবুয়ে দল জিতেছে দাপটের সাথে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৮১ টি ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামস। স্ট্রাইক রেট ১২৬.৩৮, গড় ২৩.৪৮ সহযোগে রান করেছেন ১৬৯১। শতকের দেখা পাওয়া হয়নি, তবে ফিফটি করেছেন ১১ টি। উইকেট সংগ্রহ করেছেন মোট ৪৮ টি।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত