Connect with us

লাইফস্টাইল

হার্নিয়া রোগের ঝুঁকিতে আছেন যারা

Avatar of author

Published

on

হার্নিয়া

হার্নিয়া শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হলেও রোগটি আদতে কী, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই অনেকেরই। চারপাশে অনেকেরই হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হচ্ছে বলে শোনা যায়। কিন্তু এত পরিচিত অসুখ নিয়েও ভ্রান্ত ধারণা প্রচুর। অনেকেই মনে করেন, এ রোগ কেবল পুরুষদের হয়। আবার অনেকে ভেবে নেন, হার্নিয়া নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। এত ভুল ভাবনার জন্য তারা সময়মতো চিকিৎসকের কাছে আসেন না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়।

হার্নিয়া কী?

একটি বালতির মধ্যে ফুটো হয়ে গেলে পানি বাইরে বেরিয়ে আসবে। হার্নিয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়। পেটের পিছনের দিকে থাকে হাড়, সামনে রয়েছে পেশি। তার ভিতরে থাকে অন্ত্র, নালি, চর্বি ইত্যাদি। কিন্তু পেটের মধ্যে কোথাও ফুটো হয়ে গেলে এই ভিতরের পদার্থগুলি বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইবে। একেই হার্নিয়া বলে।

হার্নিয়া

প্রাইমারি হার্নিয়া

ছেলেদের গোনাড অঙ্গে দুর্বলতা সৃষ্টি হলে গ্রোইন হার্নিয়া হতে পারে। পরিণত বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার্নিয়া বেশি হয়। স্থূলতার কারণে নাভিতেও হার্নিয়া হতে পারে। বেশ কয়েক বার গর্ভবতী হলে মহিলাদের তলপেটের অংশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ব্যায়াম না করলে মেয়েদের তলপেট কমজোরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হতে পারে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া।

সেকেন্ডারি বা ইনসিশনাল হার্নিয়া

অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময় কোনও কারণে সেলাই খুলে গেলে ইনসিশনাল হার্নিয়া হতে পারে। মহিলাদের সিজারিয়ান সেকশন বা হিস্টেরেক্টমির পর তলপেটে এ প্রকার হার্নিয়া দেখা যায়। যে কোনও অস্ত্রোপচারের পরেই এ হার্নিয়া হতে পারে। ক্যানসার রোগীর অস্ত্রোপচারের পরে শারীরিক দুর্বলতার জন্য ঘা না শুকোলেও হার্নিয়া হয়। পেটে ফুটো বা সংক্রমণের জরুরিভিত্তিক অস্ত্রোপচারের পরেও ঘা পেকে হার্নিয়া হতে পারে।

যে লক্ষণগুলো দেখে সতর্ক হবেন-

কুঁচকিতে, নাভির কাছে বা পুরনো অস্ত্রোপচারের ক্ষতের কাছে কোনও ফোলা ভাব থাকলে, সেখানে ব্যথা হলে হার্নিয়া হতে পারে। এ ছাড়া কোনও ভারী জিনিস তুলতে গেলে ব্যথা, মলত্যাগে সমস্যা, সারা ক্ষণ পেট ভার হয়ে থাকা হার্নিয়ার উপসর্গ হতে পারে।

ঝুঁকি বেশি যাদের

বয়স্কদের ওজন বেশি হলে কিংবা অন্তঃসত্ত্বাদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। অস্ত্রোপচার হলে, পরিবারে কারও হার্নিয়া থাকলে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।

Advertisement

সূত্র: হেলথ লাইন

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

পরামর্শ

ইন্টারনেট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও দেখার টিপস

Published

on

প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী কয়েকশো কোটি গ্রাহক ইউটিউব ব্যবহার করেন। এ প্লাটফর্ম দেখতে আপনার স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে, একথা সবারই জানা। তবে সব সময় হয়তো ইন্টারনেট থাকে না। অনেক সময় স্লো ইন্টারনেট কানেকশনের কারণে ভিডিও স্ট্রিমিং বন্ধ করে দিতে হয়। তবে ইউটিউবের ভিডিও দেখতে পারবেন ইন্টারনেট ছাড়াই।

কিছু ভিডিও আছে, যা বারবার দেখতে ভালো লাগে বা দেখার প্রয়োজন হয়। যেমন- বহু মানুষ কিছু গান বারবার শুনতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে শিক্ষণীয় বিভিন্ন পাঠ একাধিকবার দেখেন। এসব ভিডিও বারবার দেখার জন্য ইন্টারনেট খরচ করতে হয়। তবে অফলাইন মোডে রাখলে বেশি ডেটা খরচ হবে না। সেভ করা ভিডিও যতবার খুশি, ততবার দেখা যায়।

এজন্য ওই ভিডিওর নীচেই থাকবে ডাউনলোড অপশন। সেখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তারপর অফলাইনে সেই ভিডিও যত খুশি দেখুন। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে ইউটিউবের ভিডিও অফলাইনে চালাবেন-প্রথমে ইউটিউব খুলে প্রয়োজনীয় ভিডিও প্লে করতে হবে, যেটা অফলাইন মোডে সেভ করতে চান। তারপর ভিডিও নিচে ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে কেমন কোয়ালিটির ভিডিও সেভ করতে চান, তার অপশন আসবে। কম (১৪৪পি), মাঝারি (৩৬০পি) এবং বেশি (৭২০পি) অপশন পাওয়া যাবে।

ভিডিও কোয়ালিটি যতো বেশি হবে, ডাউনলোড করতে ততো বেশি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে। তবে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে যখন খুশি তখন চালানো যাবে সেই ভিডিও। অফলাইন মোডে যতো খুশি ততো ভিডিও সেভ করা যায়। তবে এজন্য ফোনে স্টোরেজ থাকতে হবে। কারণ ডাউনলোড করা ভিডিওগুলো মোবাইলের ইন্টার্নাল স্টোরেজে সেভ হবে। অর্থাৎ ফোনের যে স্পেস রয়েছে তা ব্যবহার হবে।

তবে আরও একটি উপায় রয়েছে, যার জন্য মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হবে। এটি হলো ইউটিউব প্রিমিয়াম। এখানে স্মার্ট ডাউনলোড ফিচারও পাওয়া যাবে। ইউটিউব প্লে লিস্টে যোগ হয়ে যাবে ভিডিও। তা অফলাইনে দেখা যাবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

মুরগি-ইলিশ-সাবু খিচুড়ি রান্না করবেন যেভাবে

Published

on

খিচুড়ি হলো বাঙালির এক তৃপ্তিদায়ক লোভনীয় খাবার। এই পদ শুধু রসনার তৃপ্তি নয়, এ হলো বাঙালির চিরন্তন ভালোবাসা, বাসনা। চালে-ডালে যে ফুটন্ত রসায়ণ তৈরি হয়, তাতে ফোড়ন পড়ে তৈরি হয় অমৃত। শীত-গ্রীষ্ম, বর্ষা, সহজ রান্নায় খিচুড়ি আমাদের ভরসা। বর্ষণমুখর দিনেও রান্না ঘরে চলুক ‘খিচুড়ি অ্যালার্ট’। রইল একাধিক ভিনস্বাদের রেসিপি।

মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি

উপকরণ-

পিয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ

১০টি লবঙ্গ

Advertisement

২ টুকরো দারচিনি

৫ টি এলাচ

১ টি তেজপাতা

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ

Advertisement

জিরেগুঁড়ো দেড় চা চামচ

হলুদগুঁড়ো ১ টেবিল চামচ

ধনেগুঁড়ো ১ চা চামচ

মুরগির মাংস

পোলাওয়ের চাল ৩ কাপ

Advertisement

মুসর ডাল ও মুগ ডাল দেড় কাপ

গোটা জিরে

কাঁচা লঙ্কা

নুন-চিনি

প্রণালী-

Advertisement

একটি প্যানে ৩-৪ টেবিল চামচের মতো তেল দিয়ে গরম মশলা (১০টি লবঙ্গ, ৫ টি এলাচ, ২ টুকরো দারুচিনি, তেজপাতা ১টি ) ফোড়ন দিন। এবার পিয়াজ কুঁচি দিয়ে ভেজে নেবেন। এতে ১ টেবিল চামচ আদাবাটা, ১ টেবিল চামচ রসুনবাটা, দেড় চা চামচ জিরেগুঁড়ো, ১ টেবিল চামচের মতো হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ ধনেগুঁড়া, দেড় চা চামচের মতো লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নেবেন। তেল ছেড়ে এলে স্বাদমতো নুন দিয়ে মুরগির মাংস দিয়ে কষিয়ে নেবেন।

এবার পোলাওয়ের চাল, মুসর ডাল ও মুগ ডাল (মুগ ডাল ভেজে নিতে হবে) দিয়ে ভেজে নেবেন। এরপর ৮ কাপ গরম পানি এবং হাফ কাপ দুধ দিয়ে দেবেন। কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবেন। এবার ৫-৬ টি কাঁচালঙ্কা দিয়ে ৪-৫ চা চামচ পরিমাণ ঘি দেবেন। খিচুরি আধঘণ্টার জন্য দমে দিয়ে মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দেবেন। সবশেষে আঁচ নিভিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে নামিয়ে পরিবেশন করুন মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি।

ইলিশ খিচুড়ি

উপকরণ-

মুগ ডাল- ১ কাপ, মুসুরের ডাল- ১ কাপ, বাসমতী চাল- ৪ কাপ, ইলিশ মাছ- দেড় কেজি, সয়াবিন তেল- ১/৩ কাপ, সর্ষের তেল- ১/৩ কাপ, দারচিনি- ৩টি, এলাচ- ৫টি, তেজপাতা- ২টি, শাহি জিরে- ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ, হলুদের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, নুন- স্বাদ মতো, লঙ্কার গুঁড়ো- স্বাদ মতো, আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা।

Advertisement

প্রণালী-

মাঝারি আঁচে মুগ ডাল ভেজে নিন। হালকা লাল হতে শুরু করলে নামিয়ে নিন। চালের সঙ্গে দু’ধরনের ডাল মিশিয়ে ধুয়ে রেখে দিন পানি ঝরানোর জন্য। ইলিশ মাছ টুকরো করে স্বাদ মতো নুন ও ১ চা চামচ করে হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিন। হাঁড়িতে দু’ধরনের তেল একসঙ্গে গরম করে ইলিশ মাছের টুকরো গুলো ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে মাছ উঠিয়ে সেই তেলেই দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও শাহি জিরে দিয়ে দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কার গুঁড়ো ও হলুদের গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন। ৩-৪ টেবিল চামচ পানি দিন। কষানো হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে রাখা চাল-ডালের মিশ্রণ ও স্বাদ মতো নুন দিয়ে নেড়ে নিন। ভেজে নেওয়া হলে ১০ কাপ গরম পানি দিন। ফুটে উঠলে ওভেন মিডিয়ামে করে ঢেকে দিন হাঁড়ি। পানি শুকিয়ে খানিকটা ভেজা থাকা অবস্থায় হাঁড়ির অর্ধেক খিচুড়ি উঠিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিন। দমে রাখুন ১০ মিনিট। নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

সাবুর খিচুড়ি

উপকরণ-

সাবুদানা, গাজর, আলু সেদ্ধ ছোট চৌকো করে কাটা, ২-৩ টি কাঁচালঙ্কা, ১/২ টমেটো কুচিঁ, ২টেবিল চামচ কারিপাতা, ১চা চামচ গোটা জিরে, ১চা চামচ আদাবাটা, স্বাদ অনুযায়ী সন্ধক নুন, ২টেবিল চামচ তেল/ঘি, স্বাদ মতো মিষ্টি, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

Advertisement

প্রণালী-

সাবু দানা খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে যাতে স্টার্চ না থাকে। এবার সাবুদানা পানিতে ভিজিয়ে ২-৩ঘন্টা রাখুন। সাবু ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এবার বাড়তি পানি ঝড়িয়ে রাখতে হবে। আলু সেদ্ধ করে কেটে নিন। টমেটো, গাজর ছোট টুকরো করে কাটতে হবে। আদা বেটে নিন। এবার প্যনে ঘি/তেল দিয়ে গরম হলে জিরে ফোড়ন দিন। ভাজা গন্ধ বেরলে কারিপাতা দিয়ে নেড়ে চেড়ে গাজর কুচি দিয়ে অল্প ভেজে আলু ও আদা কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। এই সময় আন্দাজমত নুন দিতে হবে। টম্যাটো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মিষ্টি দিতে হবে। এবার সাবুদানা দিয়ে হালকা হাতে নাড়তে হবে। ঢাকনা বন্ধ করে ফুটতে দিন মিনিট খানিক। সবজি দিয়ে এই সাবুর খিচুড়ি দারুণ লাগে উপোস মুখে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছে, টিভি-ফ্রিজ-ওয়াশিং মেশিন সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

Published

on

বজ্রপাত

অসহনীয় গরমের পর গেলো দু’দিন ধরে দুপুর থেকে শহর ভিজছে বৃষ্টিতে। সঙ্গে একরাশ ঝোড়ো হাওয়া আর আকাশে বিদ্যুতের ঝলকানি। প্রবল শব্দে বাজও পড়ছে! এই সময় ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। কারণ বাজ পড়ে টিভি, ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কী ভাবে এই বিপদ এড়ানো যায়, তা জেনে রাখা জরুরি।

১. প্রথমেই সমস্ত যন্ত্রপাতি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করুন। আকাশ মেঘলা হয়ে এলেই সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ করে দিন।

২.শুধু ফ্রিজ কিংবা টিভি নয়, বজ্রপাতের সময় ওয়াইফাই চালানো থাকলেও সেটা বন্ধ করে দিন। না হলে রাউটার খারাপ হয়ে যেতে পারে।

৩. ‘আর্থিং’ করা আছে বলে বাজ পড়লেও টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন অক্ষত থাকবে, এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। অনেক সময় ‘আর্থিং’ করা থাকলেও বিপদ হতে পারে। তাই ঝুঁকি না নেয়াই ভাল।

৪. বাইরে বজ্রবিদ্যুৎ, ঘরে যদি একান্তই ল্যাপটপ চালাতে হয় তা হলে, প্লাগ থেকে খুলে নিয়ে ব্যাটারিতে চালাতে পারেন। কিন্তু কোনো ভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ যেন না থাকে।

Advertisement

৫. মোবাইল ফোন চার্জে বসানো থাকলে সঙ্গে সঙ্গে প্লাগ থেকে তা খুলে নিন। চার্জ না থাকলেও বজ্রপাতে চার্জ দেয়ার ঝুঁকি নেবেন না।

৬. বাড়িতে ‘লাইটনিং অ্যারেস্টার’ অবশ্যই যেন থাকে এবং সেটা ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও করতে হবে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত