দেশে করোনার প্রভাব বেড়ে গেলে স্কুলগুলো হয়তো চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে, বিশেষ করে শীতে এর প্রভাব বেড়ে যায়। তাই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু রাখতেই হবে। এছাড়া এখন থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে কোভিড-১৯ টিকা নিতে হবে।
সরকারের টিকাদান কার্যক্রমের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের প্রথমে দিয়েছি, এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি এবং ১২ বছর বয়স পর্যন্ত যারা তাদের সবাইকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরিবারের শুধু অভিভাবেক নয়, শিক্ষার্থীরাও যাতে টিকা নেয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার করোনার কারণে ১ জানুয়ারি সারাদেশে বই উৎসব না হলেও সেদিন থেকেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী করোনার মধ্যেও ফলাফল ঘোষণার সাফল্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষমন্ত্রণালয়সহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের জন্য সোনার মানুষ হবে আজকের শিক্ষার্থীরা। এজন্য তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের নজর দেয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যোগ্য নাগরিক আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তৃতা করেন।
এস