আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

অ্যালোভেরার বিরূপ আচরণ...

অ্যালোভেরার বিরূপ আচরণ...
ইদানীং শরীর, ত্বক বা চুল যে কোনও সমস্যাতেই অ্যালোভেরার রস খাওয়ার একটা প্রচলন শুরু হয়েছে। হয়তো পাশের বাড়ির কেউ বা কোনও বন্ধু সেই রস খেয়ে উপকার পেয়েছেন। সে কথা শুনেই আপনিও শুরু করলেন অ্যালোভেরার রস খাওয়া। অনেকের বাড়িতেও এখানে ওখানে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গাছ জন্মায়। কেটে-ছিড়ে বা পুড়ে গেলে সেই গাছের পাতা কেটে সরাসরি ক্ষতের উপর লাগিয়েও নেন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভেষজের বহুগুণ থাকা সত্ত্বেও এটি কারও কারও জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কোনও এক জনের ত্বকে অ্যালোভেরা পাতার নির্যাস দারুণ উপকার করেছে মানে আপনার ক্ষেত্রেও যে একই ভাবে কাজ করবে, তা না-ও হতে পারে। অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাস থেকে হতে পারে যেসব ক্ষতি- যে কোনও সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। অনেকের ত্বকেই এই ধরনের গাছের ‘আঠা’ জাতীয় জিনিস লাগলে অ্যালার্জি হয়। তাই সরাসরি পাতা কেটে ত্বকে পাতার নির্যাস না মাখাই ভাল। অ্যালোভেরা পাতার রস খেলে পেটের গোলমাল হতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই অ্যালোভেরার রস খেয়ে থাকেন। ত্বকে র‌্যাশ, ব্রণের পাশাপাশি জ্বালার অনুভূতিও হতে পারে অ্যালোভেরার নির্যাস মাখলে। অনেকে বলেন, অ্যালোভেরা পাতার নির্যাস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই যাদের ডায়াবিটিস নেই, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। বেশি অ্যালোভেরার রস খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন অ্যালোভেরার | বিরূপ | আচরণ