আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

প্যারিসে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিলে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী-সাবেক প্রেসিডেন্ট

প্যারিসে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিলে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী-সাবেক প্রেসিডেন্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবন্ধের দাবিতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বড় ধরণের  বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার শুরু হওয়া ওই মিছিলে অংশ নেন প্রায় পৌণে দুই লাখ লোক।দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক প্রেসিডেন্টরাও বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছেন। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়,ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোরনি,সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এবং ফ্রাঁসোইস হোল্যান্ড, বামপন্থি দলের প্রতিনিধি এবং প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দলের অনেকেই কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন।প্রধান শহর লিয়ন, নিস এবং স্ট্রাসবার্গসহ সারা দেশে ৭০টিরও বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে যোগ না দিলেও প্রতিবাদের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।তিনি অসহনীয় কর্যকলাপের জন্য ইহুদিদের বিরুদ্ধে ফরাসি নাগরিকদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,ফ্রান্সকে অবশ্যই তার মূল্যবোধের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্রান্সের বামপন্থি দলের নেতা জিন-লুক মেলেনচনও অংশগ্রহণ না করলেও দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ফরাসি পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়,১ লাখ ৫ হাজার মানুষ ‘প্যারিস মার্চে’ যোগ দিয়েছেন।তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা ও যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফ্রান্সে শুরু হওয়া দেশজুড়ে আন্দোলনে ১ লাখ ৮২ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন।নিরাপত্তা বজায় রাখতে ৩ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন,গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ১ হাজার ২৪৭টি আন্দোলন রেকর্ড করা হয়েছে। এই সংখ্যা গত বছর (২০২২) সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। প্রসঙ্গত,পবিত্র আল আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত ৭ অক্টোবর স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে তারা নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গাজায় অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। শুদু তাই নয়, গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের শহরগুলোতে সামরিক অভিযান দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ভূখন্ডে  ইসরায়েলের  অবৈধ বসতি বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রকেট হামলা চালায় হামাস। আর এর জবাবে  হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।তাদের বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্যারিসে | ফিলিস্তিনিদের | পক্ষে | মিছিলে | ফ্রান্সের | প্রধানমন্ত্রীসাবেক | প্রেসিডেন্ট