অর্থনীতি

ক্রেতা শূন্য বাজারে চড়া কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম

ক্রেতা শূন্য বাজারে চড়া কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম
কোরবানির পরে প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার ছিল ক্রেতা শূন্য। কিন্তু এ ক্রেতা শূন্য বাজারেই উত্তাপ ছড়িয়েছে কাঁচামরিচ ও সবজির দাম। রাজধানীর বাজারে খুচরা পর্যায়ে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকায়। শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানী ও এর আশপাশে বেশ কিছু বাজার ঘুরে দামের এ চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম। ঈদে টানা মাংস খেয়ে হাঁফিয়ে উঠেছে মানুষ। তাই এ সপ্তাহে সবজি কিনছেন বেশি। ফলে সবজির বাজারও চড়া। প্রায় সব সবজির দামই ৫-১০ টাকা বেড়েছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮৫-১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেশি। ঝিঙার কেজি ৭০ টাকা, করলা ৮৫-৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, পটলের কেজি ৬০-৬৫ টাকা, কচুরমুখি ১০০-১১০ টাকা, কচুরলতি ৬৫-৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় হু হু করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের পর পাইকারি পর্যায়ে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে গেছে। বাজার ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। যা সপ্তাহ আগেও ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। তবে খুচরা পর্যায়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৪০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজারে দেশি জাতের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। হাইব্রিড জাতের মরিচ মিলছে ৩৮০-৩৯০ টাকায়। যদিও কারওয়ান বাজারে কেজি প্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা দরে। এ বাজারের বিক্রেতা আবু সুফিয়ান জানান, ঈদের আগে প্রতিকেজি ২৮০-২৯০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। এখন কেনা পড়ছে ৩৬০ টাকা। পরিবহন খরচসহ সেটা প্রায় ৩৮০-৩৮৫ টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাই ৪০০ টাকার নিচে কাঁচামরিচ বিক্রি তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এদিকে ঈদের পরে  বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ঈদের আগে যেই মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি দরে। সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২১০ টাকা কেজি করে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের রোকেয়া ব্রয়লার চিকেন হাউসের বিক্রয়কর্মী রুবেল মিয়া বলেন, সবাই তো কোরবানি দেয়নি। তা ছাড়া প্রতিদিন তো গরুর মাংস খাবে না। হোটেলেও প্রতিনিয়ত দরকার হয় মুরগির। সে জন্য চাহিদা কমেনি, দামও কমেনি। এখনও অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে আলুর বাজার। ছোট-বড় সব বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে পাড়ামহল্লার দোকানে কেউ কেউ কেজিতে আরও ৫ টাকা বেশি রাখছেন। ঈদের পর বেড়েছে মাছের চাহিদা। ফলে দামও কিছুটা বেশি। বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৮০ টাকা কেজিতে। ইলিশের দাম বাড়তিই রয়েছে। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১৪০০ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা। এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা দরে। এছাড়া মধ্যবাড্ডা, রামপুরা এবং ডিআইটি ফিস মার্কেটে কাতল মাছের কেজি ৩২০-৩৩০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তি আছে ডিমের বাজারে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ক্রেতা | শূন্য | বাজারে | চড়া | কাঁচা | মরিচ | ও | সবজির | দাম