বাংলাদেশ
ব্যাংক রাজনীতির জায়গা না, জবাবদিহিও নেই
Published
4 years agoon
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: ১৯৬৩ সালে আমি করাচিতে প্রশিক্ষণে ছিলাম। যোগ দিয়েছি হাবিব ব্যাংকে। প্রশিক্ষণে খেলাপি ঋণ নিয়ে তেমন কিছু পড়ানো হতো না। একেবারে শেষ দিকে এসে বলা হলো, খেলাপি ঋণ বলে একটা বিষয় আছে। তখন যা পড়ানো হতো তা বিকেলে শাখায় গিয়ে দেখানোর নিয়ম ছিল। এক ভদ্রলোককে দায়িত্ব দেওয়া হলো কোন শাখায় নেওয়া হবে, তা বের করার। সাধারণত আমাদের মাঝারি আকারের কোনো শাখায় নেওয়া হতো, যাতে ভিড় কম থাকে। ওই ভদ্রলোক মাঝারি আকারের সব শাখায় খবর নিয়ে জানলেন, কোনো খেলাপি ঋণ নেই। এরপর আমাদের একটা বড় শাখায় নেওয়ার জন্য ঠিক হলো। করাচির হাবিব ব্যাংকের ওই শাখা থেকে জানানো হলো, একটা ঋণ খেলাপি হয়েছে। তবে কথাবার্তা হয়ে গেছে, ঠিক হয়ে যাবে। দেখাতে হলে এখনই আসতে হবে। সেই প্রথম খেলাপি ঋণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। এরপর প্রশিক্ষণ শেষ করে ঢাকায় ফিরে এলাম। ঢাকাতেও তেমন খেলাপি ঋণ দেখা গেল না। মনে হলো, এটা বইয়ে আছে তাই পড়ানো হয়েছে। কিন্তু এটা যে কী জিনিস, তা স্বাধীন হওয়ার পর হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। প্রথম দিকে তেমন খেলাপি ঋণ ছিল না, ধীরে ধীরে ঋণ খারাপ হওয়া শুরু করল। প্রথমে নিয়ম ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক খারাপ ঋণ খেলাপি করে দেবে। এরপর নিয়ম করে দেওয়া হলো, নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ আদায় না হলে খেলাপি হবে। আর এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় সব ঋণই খেলাপি। বরং ভাগ্যক্রমে অল্প কিছু ভালো ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। এটা আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা।
৯০ শতাংশ ব্যাংকমালিক ভালো। সরকার দুষ্টলোকদের পরিবর্তে যদি ভালো পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে ভালো পরামর্শ পাবে। আর সরকারকে চাঁদা দেওয়ার পরিবর্তে আমানতকারীদের নিরাপত্তার জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করতে হবে। সরকার চাইলে ব্যাংক খাত ঠিক হবে, এর বাইরে অন্য কোনো উপায় নেই।
স্বাধীনতার পরের অভিজ্ঞতা কেমন?
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: আগে হাবিব ব্যাংকে কাজ করেছি। দেশ স্বাধীনের পর তো অনেকগুলো ব্যাংকে কাজের সুযোগ হয়েছে। হাবিব ব্যাংকে অনেক প্রক্রিয়া মেনে ঋণ দেওয়া হতো। কর্মকর্তাকে স্বাক্ষর করতে হতো এমন একটি নথিতে, যেখানে লেখা থাকত সন্তুষ্ট হয়ে ঋণ দিয়েছি। যদি কোনো কারণে ঋণ খারাপ হয়ে যেত, তাহলে ওই কর্মকর্তার কাছে টাকা আদায়ের চাপ আসত। এমনকি কোনো কোনো সময় ঋণের একটি অংশ ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে আদায় করা হতো। অর্থাৎ ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা যেন চলে গেল। কে অনুমোদন দিল, কে সুপারিশ করল, কে বিতরণ করল, সব হিসাব যেন উঠে গেল। কাউকে দায়ী করা হয় না। এমন পরিস্থিতি শুরু হলো ’৮০–এর দশকে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে। তখন বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হলো। বিশ্বব্যাংক তখন ইউরোপ ও আমেরিকার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা দল গঠন করল। প্রতিটি ব্যাংকে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলো। তারা পাঁচ বছর কাজ করে একটা দেশের ব্যাংকগুলোর অনেক উন্নতি করল। তারা যে–ই চলে গেলেন, আবার আগের অবস্থায় ফিরে এল খেলাপি ঋণ। এর মানে আমরা কোনো নিয়মের মধ্যে চলতে চাই না এবং সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ নিয়মের মধ্যে থাকতে চায় না। এখানেই মূল সমস্যা।
বিজ্ঞাপন
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
আপনার সব ধরনের ব্যাংকে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। খেলাপি ঋণ কমানো বা অনিয়ম প্রতিরোধে সফল ছিলেন?
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: আমি যখন সোনালী বা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলাম, তখন খেলাপি ঋণ অনেক কমাতে পেরেছিলাম। এমডি ইচ্ছা করলেই পারে। যদি এমডির ওপর কোনো হস্তক্ষেপ না করা হয়। আমার সময়ে এ ধরনের চাপ সৃষ্টির প্রবণতা কম ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। এখনকার সরকার যেভাবে প্রত্যক্ষভাবে ব্যাংক খাতে হস্তক্ষেপ করছে, তখন এভাবে হস্তক্ষেপ করত না। তখনো তদবির হতো, তবে এখনকার মতো ওপর মহল থেকে না। এটা কোনো মাঝামাঝি পর্যায় থেকে হতো, আমরা তা ঠেকাতে পারতাম। আর যদি কেউ বাড়াবাড়ি করত, তাহলে আমরা সক্রিয় হতাম।
যেমন, লুৎফর রহমান সরকার যখন গভর্নর ছিলেন, আমি তখনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগ দিই। একবার একজন বড় ব্যবসায়ী গভর্নরকে অপমান করেছিলেন, শার্টের কলার ধরেছিলেন। তিনি ক্ষমতার খুব কাছাকাছি ছিলেন। ওই সময় লুৎফর রহমান সরকার দৌড়ে আমার কক্ষে চলে এসেছিলেন। এর মধ্যেই ওই ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। আমরা বিষয়টি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া সাহেবকে জানালাম। আরও কয়েকজনকে জানানো হলো। তারপরে ওই ভদ্রলোক সরকার সাহেবের কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে গেলেন। এই যে আমরা সক্রিয় হলাম, এর ফলেই তাঁকে মাফ চাইতে হলো। আর কিবরিয়া সাহেব সরাসরি কথা বলার মানুষ ছিলেন। ওই ভদ্রলোক অবশ্য এখন আরও ক্ষমতাবান। তাঁকে ঠেকানোর সাধ্য গভর্নর কেন, কারও নেই। কে কতটা সক্রিয়, তার ওপর বিষয়টা অনেকটা নির্ভর করে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যাঁরা আছেন, তাঁদের কারও সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোনো বিষয়ে নালিশ করার সক্ষমতা নেই। এটা অন্যতম একটা কারণ।
তখন কিবরিয়া সাহেব ফোন করে বললেন, আপনারা পর্ষদ ভেঙে দিলেন। আমাকে একটু জিজ্ঞেস করলে কি খুব অসুবিধা হতো। তখন আমি বললাম, আপনাকে বললে পর্ষদ ভাঙা যেত না। আপনি রাজনীতি করেন। উনি জানতে চাইলেন, সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন নাকি। গভর্নর জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্থগিত করা হবে না। তাহলে তো বাংলাদেশ ব্যাংক থাকে না।
আপনি গভর্নরের শার্টের কলার ধরার কথা বললেন। আপনাদের সময়েই একটি ব্যাংকের পর্ষদ দখল করার ঘটনা তো ঘটেছিল। আর এখন তো এমডিকে গুলি করার ঘটনাও ঘটছে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: আমি তখন ডেপুটি গভর্নর। হঠাৎ শুনলাম একটি ব্যাংকে পরিচালনা পর্ষদের সভায় গোলাগুলি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বলা হলো, দেখা গেল ঘটনাটি সত্য। তখনকার গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বললেন, কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে পর্ষদ ভেঙে দেন। আমরা আইন অনুযায়ী, আধা ঘণ্টার মধ্যে পর্ষদ ভেঙে দিলাম। তখন কিবরিয়া সাহেব ফোন করে বললেন, আপনারা পর্ষদ ভেঙে দিলেন। আমাকে একটু জিজ্ঞেস করলে কি খুব অসুবিধা হতো। তখন আমি বললাম, আপনাকে বললে পর্ষদ ভাঙা যেত না। আপনি রাজনীতি করেন। উনি জানতে চাইলেন, সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন নাকি। আমি গভর্নরের সঙ্গে কথা বলতে বললাম। গভর্নর জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্থগিত করা হবে না। তাহলে তো বাংলাদেশ ব্যাংক থাকে না। একটি ব্যাংকের পর্ষদে মারামারি হবে, আর বাংলাদেশ ব্যাংক চেয়ে চেয়ে দেখবে, তা তো হয় না।
তাই বলি আমরা তো নানা কিছুই করেছিলাম, এতে তো কোনো অসুবিধা হয়নি। কারও চাকরিও যায়নি। কেউ কিছু বলেননি। তবে কেউ কেউ যে খুশি হননি, তা বুঝতে পারি।
এরপর তো কত ঘটনা ঘটেছে, বরং এর চেয়ে বড় ঘটনাও ঘটেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তো আর কোনো ব্যাংকের পুরো পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সাহস করল না। আমরা যা করেছি, তা এখনো করা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, গভর্নরের কোনো সিদ্ধান্তকে কোনো রাজনৈতিক সরকার বাধা দেবে না।
সে সময়েই একবার এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আপনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন মাফিয়াদের দখলে। কেন বলেছিলেন?
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: মূলত কিবরিয়া সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এভাবে বলেছিলাম। তখন আমি সোনালী ব্যাংকের এমডি। উনি একটু মন খারাপ করেছিলেন। পরে বলেছিলেন, এভাবে সামনাসামনি না বলে একা একা জানাতে পারতেন। পরে ওনার সঙ্গে যখন দেখা হলো, নিজেই বললেন, রাগ করেছেন নাকি। তখন আমি বলেছিলাম, বরং আপনি রাগ করেছেন নাকি। এরপর বললেন, আমি তো মন্ত্রী, একটু মন খারাপ লাগে। কথা তো আপনি ঠিকই বলেছেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। গত ২৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি–কাঁচার মেলা কার্যালয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। গত ২৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি–কাঁচার মেলা কার্যালয়ে।ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
প্রকাশ্যে কেন এমন বলতে হয়েছিল?
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: তখন আমি সোনালী ব্যাংকের এমডি। তখনকার নির্বাচিত শ্রমিক ইউনিয়ন বা সিবিএ খুব খারাপ ছিল। সাবেক সচিব এম আসফ-উদ-দৌলা তখন চেয়ারম্যান। আতিউর রহমান, খুশী কবির পরিচালক। সিবিএ যখন-তখন পর্ষদে এসে নানা তদবির করত, ঝামেলা করত। এ জন্য বিরক্ত হয়ে এ কথা বলেছিলাম। তবে কাজ হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তখনকার সিবিএ মাফিয়ারা কর্মকর্তাদের বদলি ও পদোন্নতি করাতে টাকা নিত। এখনকার মাফিয়ারা এত ছোট কাজে যুক্ত হয় না। এখনকার মাফিয়ারা কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয়, তা ফেরত না দেওয়ার জন্য। ওই টাকার একটি অংশ ভাগ–বাঁটোয়ারা হয়। এ ধরনের মাফিয়া দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
লুৎফর রহমান সরকার তখন গভর্নর। একবার একজন বড় ব্যবসায়ী গভর্নরকে অপমান করেছিলেন, শার্টের কলার ধরেছিলেন। তিনি ক্ষমতার খুব কাছাকাছি ছিলেন। ওই সময় লুৎফর রহমান সরকার দৌড়ে আমার কক্ষে চলে এসেছিলেন। আমরা বিষয়টি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া সাহেবকে জানালাম।
বর্তমান সময়ে আসি। শুরু করি বেসিক ব্যাংক নিয়ে। হঠাৎ করে ব্যাংকটি খারাপ হয়ে গেল, কারও শাস্তিও হলো না। বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকও খারাপ করছে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: সরকার কর্তৃক একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার পর ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে হলো ৮০ শতাংশ, আগে যা ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। শুধু একজন চেয়ারম্যান ও এমডির কারণে ব্যাংকটির এমন অবস্থা হয়ে গেল। ৮০ শতাংশ ঋণ যখন খারাপ হয়ে গেল, তখন তো সরকারে উচিত ছিল কাউকে না কাউকে দায়ী করা। আর এত ঋণ যে খারাপ হয়ে গেল, তা তো কোনো শাখা ব্যবস্থাপকের জন্য হয়নি। চেয়ারম্যান-এমডি ছাড়া একটি ব্যাংক এত খারাপ হতে পারে না। কিন্তু চেয়ারম্যান দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুনেছি, দুদক দুদিন ডেকেছিল। চা খাইয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। তার মানে চেয়ারম্যানকে যাঁরা রক্ষা করছেন, তাঁরা দুদকের চেয়ে শক্তিশালী। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তারপর আসি ফারমার্স ব্যাংকের ঘটনায়। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটি দেওয়া হয়েছিল মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে, যিনি মন্ত্রীও ছিলেন। এ ব্যাংকটির অবস্থা এত খারাপ হয়ে গেল যে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছিল না। ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে যেত, কিন্তু সরকার রক্ষা করল। সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ব্যাংককে দিয়ে মূলধন বিনিয়োগ করাল। এটা ভালো কথা। কিন্তু যারা ব্যাংকটিকে দেউলিয়ার মুখে নিয়ে গেল, তাদের কি কিছু হবে না? চেয়ারম্যানকে কেউ প্রশ্নও করেনি। এই যে বললাম, জবাবদিহি বলতে কিছু নেই। এখন বলা হচ্ছে, মাহবুবুল হক চিশতী ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে ধরা হয়েছে। শুধু তিনি একাই কি ব্যাংকটিকে খারাপ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত ছিলেন।
অন্যরা যা পড়ছেন
টিভিতে আজকের খেলা
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখলেন কালাম ও মশিউর
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ৬২০ পিস ইয়াবা ও ১২ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে।
খেলা দেখতে কার না ভালো লাগে। দেখে নিই কোন কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল আজ কোন কোন খেলা দেখাবে-
ফুটবল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল
মোহামেডান–পুলিশ এফসি
বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, বাফুফে ইউটিউব চ্যানেল
বসুন্ধরা কিংস–শেখ জামাল
বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস ইউটিউব চ্যানেল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ওয়েস্ট হাম–লিভারপুল
বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড–বার্নলি
রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
নিউক্যাসল–শেফিল্ড
রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২
এভারটন–ব্রেন্টফোর্ড
রাত ১০টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
অ্যাস্টন ভিলা–চেলসি
রাত ১টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
লা লিগা
আতলেতিকো মাদ্রিদ–অ্যাথলেটিক বিলবাও
রাত ১টা, র্যাবিটহোল, স্পোর্টস ১৮–১
জার্মান বুন্দেসলিগা
বায়ার্ন মিউনিখ–ফ্রাঙ্কফুর্ট
সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২
লেভারকুসেন–স্টুটগার্ট
রাত ১০টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ৫
ক্রিকেট
আইপিএল
দিল্লি ক্যাপিটালস–মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
বিকেল ৪টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস
লখনৌ সুপার জায়ান্টস–রাজস্থান রয়্যালস
রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস
পঞ্চম টি–টোয়েন্টি
পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড
রাত ৮টা ৩০ মিনিট, জিও সুপার, এ স্পোর্টস
জনদুর্ভোগ
রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস বন্ধ থাকবে আজ
Published
2 hours agoon
এপ্রিল ২৭, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীগ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
জাতীয়
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
টিভিতে আজকের খেলা
খেলা দেখতে কার না ভালো লাগে। দেখে নিই কোন কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল আজ কোন কোন খেলা দেখাবে- ফুটবল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার...
রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস বন্ধ থাকবে আজ
গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল...
ট্রাকচাপায় ৩ ভ্যানযাত্রী নিহত
বাগেরহাটের রামপালের চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৭...
কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্যোন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখেছিলেন শেরে বাংলা
বাংলার বাঘ নামে পরিচিত শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। শনিবার (২৭ এপ্রিল)...
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের...
শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী...
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শনিবার...
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল)। অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা আবুল...
নির্বাচনে প্রভাব খাটানো এত সোজা নাকি প্রশ্ন ইসি আহসান হাবিবের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইনশৃঙ্খলার চাদরে ঘেরা থাকবে। যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে, ভোট ডাকাতি, ভোট চুরির ইচ্ছা আছে, প্রভাব, পেশিশক্তি প্রয়োগ...
নিজের ছেলেকে খুন করতে কিলারকে ৭৫ লাখ টাকা দিলেন বাবা
শনিবারেও কমছে না দেশের তাপমাত্রা
বায়ুদূষণে ঢাকা আজ ষষ্ঠ স্থানে
হিট স্ট্রোক এড়াতে যা করবেন আর যা করবেন না
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিলো ইসরায়েল: হামাস
টিভিতে আজকের খেলা
গরমে শিশুকে চাঙ্গা রাখতে যে খাবারগুলি খাওয়াবেন
আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
রেলপথ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন চট্টগ্রামে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বলিউড6 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
- বাংলাদেশ3 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
- আবহাওয়া7 days ago
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
- দেশজুড়ে6 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
- বাংলাদেশ5 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
- চট্টগ্রাম7 days ago
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন চট্টগ্রামে
- ঢাকা4 days ago
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
- বলিউড6 days ago
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!