দুর্নীতির অভিযোগে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কার্চনারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কারাদণ্ড পাওয়া প্রথম কোনো ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও কংগ্রেশনাল দায়মুক্তির কারণে ক্রিস্টিনাকে কারাগারে যেতে হবে না। দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এ সুবিধা পাবেন তিনি।
২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিজের শক্তিশালী ঘাঁটি পাতাগোনিয়া অঞ্চলে সরকারি কাজ প্রদানে অনিয়ম করার অভিযোগ ওঠে ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে নিজের বন্ধুকে সরকারি নির্মাণ কাজ পাইয়ে দেন তিনি।
খবরে বলা হয়, বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রসিকিউটররা তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিনা।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কার্চনারের দাবি, বিচারবিভাগীয় মাফিয়ার' ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
খবরে আরও বলা হয়, ছয় বছরের সাজার পাশাপাশি ক্রিস্টিনাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান রায়ের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তিনি।