আর্কাইভ থেকে জাতীয়

চলছে গণপরিবহন, খুলেছে দোকান-শপিংমল

চলছে গণপরিবহন, খুলেছে দোকান-শপিংমল

আসন্ন  ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে টানা ১৪ দিন পর কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এ কারণে সারাদেশে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে দোকানপাট-শপিংমল।

গতকাল বুধবার ছিলো সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন। করোনার প্রকোপ কমাতে বিধিনিষেধ কয়েকধাপে বাড়ানো হয়েছিল। তবে এ ঈদের কারণে এর মেয়াদ না বাড়িয়ে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। তবে ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। আবার আগের মতোই সারাদেশে গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হল। এ সময় জনসাধারণকে সতর্ক থাকা ও মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়।

এদিকে, ঈদের আগ মুহূর্তে কয়েকদিন যানবাহন ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরছে পরিবহন শ্রমিকদের।

এবার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি এসেছে। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিকদের। 

গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিলেও করোনা সংক্রমণ কমাতে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এক্ষেত্রে যাত্রীকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে। এই আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবেই চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার রোধে এ সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন- জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চলছে | গণপরিবহন | খুলেছে | দোকানশপিংমল