আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

রাজধানীতে স্বামী ও সন্তানকে খুঁজতে এসে ধর্ষণের শিকার, আটক পাঁচ জন

রাজধানীতে স্বামী ও সন্তানকে খুঁজতে এসে ধর্ষণের শিকার, আটক পাঁচ জন
রাজধানীর বসিলায় সাবেক স্বামী ও সন্তানকে খুঁজতে এসে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। অটোরিকশাচালকসহ সংঘবদ্ধ চক্র স্বামী ও সন্তানদের খুঁজতে সহায়তা করবেন আশ্বাস দিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যান বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ মামলায় ৫ জনকে আটক করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান তেজগাঁও থানা পুলিশ। তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক জানান, গেলো ২০ জানুয়ারি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। তিনি দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা থেকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে মোহাম্মদপুর থানাধীন বছিলা এলাকায় আসেন। বছিলা এলাকার একটি বাসায় তার স্বামী-সন্তান বসবাস করতেন। আনুমানিক ৪ মাস আগে অসুস্থতাজনিত কারণে ভিকটিম তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ইতোমধ্যে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দেন। তাদের খোঁজ নিতে এসে ধর্ষণের শিকার হলেন তিনি। মামলায় ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি গ্রামের বাড়ি চলে যান। তার সাবেক স্বামী সন্তানদের নিয়ে রাজধানীতে থাকতেন। ভুক্তভোগী ওই নারী গেলো ২৫ জানুয়ারি সন্তানদের দেখতে ঢাকায় আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, তার সাবেক স্বামী বাসা ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের না পেয়ে রাত নয়টার দিকে তিনি গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশাচালকের সঙ্গে কথায় কথায় তিনি সন্তানের কথা বলেন। অটোরিকশাচালক তাকে সন্তানদের খুঁজতে সহায়তা করবেন আশ্বাস দিয়ে কয়েক ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, অটোরিকশাচালক তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকেন এবং মুঠোফোনে কথা বলতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ওই অটোরিকশায় জোর করে দুজন উঠে যান। তাদের রিকশা থেকে নেমে যেতে বলা হলেও তারা নামেননি। একপর্যায়ে অটোরিকশা নির্জন স্থানে গিয়ে থামে। তখন প্রায় মধ্যরাত। সেখানে দুজন আগে থেকেই অবস্থান করছিল। পরে একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে অটোরিকশাচালকসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করেন। অন্য একজন পাহারায় ছিলেন। ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। এখন তাকে পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হয়েছে। এএম   https://youtu.be/UHc1luW73FA

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রাজধানীতে | স্বামী | ও | সন্তানকে | খুঁজতে | এসে | ধর্ষণের | শিকার | আটক | পাঁচ | জন