Connect with us

জাতীয়

প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

Avatar of author

Published

on

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে পুরো দেশ। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করার পাশাপাশি সৌধ চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রং তুলির আঁচড়। নানা রঙের বাহারি ফুলে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধা নিবেদন ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে ঢাকা জেলার পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উচ্চমাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ও পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির পাশাপাশি চারস্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা সৌধ প্রাঙ্গণকে প্রস্তুত করেছেন। ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শহীদ বেদিতে। এরপর মন্ত্রীবর্গ, কূটনৈতিকবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি।

গণপূর্ত অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, নানা রংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধকে। এজন্য ২২ মার্চ থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীসহ জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Advertisement

দিবসটিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় কারা কারা অবস্থান করছেন সেটা প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সাদা পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে।

স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসানোর পাশাপাশি আগের চেয়ে ফোর্স আরও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ২৬ মার্চ উপলক্ষে গত তিন দিন ধরে আমাদের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।

এবার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাতেও স্পেশাল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য। এছাড়া ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে যারা স্মৃতিসৌধ এলাকার সামনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্যবহার করে গাবতলীর দিকে যাবেন তাদেরকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস আজ

Published

on

রক্তে ভেজা ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস বা মুল্লুকে চলো দিবস আজ মঙ্গলবার (২১ মে) ।

১৯২১ সালের ২০ মে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় চাঁদপুরের মেঘনাঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় চা শ্রমিকদের। এরপর থেকে চা-শ্রমিকেরা ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন এই দিবসটি।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চানপুর চা বাগানর শ্রমিক নিপেন পাল জানান- দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুর চা বাগানে সমাবেশ করবে লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকরা।

চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। সে সময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িষ্যা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়।

‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ গাছ নাড়ালেই টাকা মিলবে এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শ্রমিকের জীবন গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এছাড়া ব্রিটিশদের অত্যাচারতো ছিলই। তাদের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পন্ডিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পন্ডিত দেওসরন ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন।

এরপর ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে, ব্রিটিশ সৈনিকরা গুলি চালিয়ে শত-শত চা শ্রমিককে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যারা পালিয়ে এসেছিলেন তাদেরকেও আন্দোলন করার অপরাধে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চা শ্রমিকদেরকে পরানো হয় একটি বিশেষ ট্যাগ। তারা ভূমির অধিকারও পায়নি। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২০ মে চা শ্রমিক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সৌদি পৌঁছেছেন ৩২,৭১৯ জন হজযাত্রী

Published

on

হজ্জ

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ৮২টি ফ্লাইটে সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩২ হাজার ৭১৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৮ হাজার ৯৭২ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৮২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এ ছড়া হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, গেল ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

বাণিজ্য-বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জে দিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।

Advertisement

বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরের কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।

পেনি ওং বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জনগণের বেশ ভালো সখ্যতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ হাজারে বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক সহযোগিতা করছে সেখানে আমি তা দেখব।

পেনি ওংয়ের সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলীর মধ্যে, বিশেষত বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, সেখানে প্রবাসীদের কল্যাণ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতার বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত