শিক্ষা
নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতাকারীরা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের বেশির ভাগই কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দাবিগুলো করছেন, তা একেবারেই যৌক্তিক নয়। বললেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ নোট-গাইড স্কুল পর্যায়ে গিয়ে বিক্রি করার সঙ্গে জড়িত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য এর সঙ্গে কিছু কিছু শিক্ষকও জড়িত। তাই আন্দোলনকারীদের মূল উদ্দেশ্যই হলো তাদের কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখা।
তিনি বলেন, শিক্ষায় এত বড় একটি রূপান্তরের ক্ষেত্রে এক বছর বেশি সময় নয়। এতে অভিভাবকরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হবেন, শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ চলছে কারণ ক্রমাগত আমরা এর পরিমার্জন পরিচালন করছি কিন্তু সিস্টেম পরিবর্তন হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৭-১৮ সালের অনেক গবেষণা ও সিদ্ধান্তের পর আজকের এই শিক্ষাক্রম এবং এই শিক্ষাক্রমের পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এই শিক্ষাক্রম প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
শিক্ষা
পেনশনের আওতায় আসছে সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সব ঠিক থাকলে বেসরকারি শিক্ষকরাও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত পেনশন পাবেন। ফলে বিদ্যমান অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাড়ে ৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পেনশনের আওতায় আনতে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করবে ওই কমিটি। এরপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে সরকার।
সূত্র জানায়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-২) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রতিনিধি, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত এই কমিটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সে জন্য আজ রোববার প্রথম সভায় বসবে কমিটি।
তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, গেলো এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গেলো ৬ মে বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।
কমিটি আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের আলোকে এই কমিটি করা হয়েছে। আজ প্রথম বৈঠকে বসছি। কমিটিকে যেসব কর্মপরিধি দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেয়ার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুলকলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান না। পুরো চাকরি জীবনে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে বেতন থেকে ১০ শতাংশ (আগে ৬ শতাংশ ছিল) জমা রাখেন। এর মধ্যে অবসর বোর্ড কাটে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ ট্রাস্ট কাটে ৪ শতাংশ। সেই আসল টাকা ও লাভের অংশের সঙ্গে সরকার কিছু টাকা প্রদান করে। অবসরে পর সেই টাকা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু টাকা উত্তোলনে শিক্ষকদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেক শিক্ষক এই টাকার অপেক্ষায় মারা যান। কিন্তু শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনলে এই দুটি বোর্ড বাতিল হয়ে যাবে।
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পেয়ে আসছে আর ২০০৫ সাল থেকে শুরু অবসর সুবিধা। এই দুই ফান্ড থেকে শিক্ষকরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কল্যাণ ট্রাস্টে বছরে গড়ে আবেদন পড়ে ১৬ হাজার ৮০০ থেকে ১৭ হাজার, যা নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ৭২০ কোটি টাকা। আর অবসর সুবিধা বোর্ডে বছরে ১০ হাজার ৮০০টি আবেদন পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ১,৩২০ কোটি টাকা। দুই খাতে প্রতিবছর ৫৭০ কোটি টাকা ঘাটতি থাকে। দুই বোর্ডে প্রায় ৬৭ হাজার পেন্ডিং আবেদন নিষ্পত্তি করতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
কেএস/
শিক্ষা
৩০ জুনই শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা : ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা।
শনিবার (০১ জুন) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পূর্বঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাসারও।
উল্লেখ্য, গেলো ২ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়। সূচি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।
রুটিন অনুযায়ী, প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
শিক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩১ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, পরীক্ষা আগের রুটিন অনুযায়ীই হবে। পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভুয়া বিজ্ঞপ্তিতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। স্মারক নং: ঢাবো/পানি/৪০৪ সম্বলিত বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, আগাম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দুই দফা ছাত্রছাত্রীদের দেশব্যাপী আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে, আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুলাই বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, শীঘ্রই ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশিত হবে। বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর বিষয়টিকে ভুয়া বলে জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এএম/
- বলিউড4 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- ঢালিউড4 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
- বাংলাদেশ6 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড2 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি
- আবহাওয়া6 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বলিউড5 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!
- আন্তর্জাতিক4 days ago
থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা
- বাংলাদেশ6 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি