চালের বাজার পুরো প্রতারণামূলক। যে নামে চাল তৈরি হয় তা ব্যাগের ভেতরে থাকে না। স্বর্ণা চাল মোটা, এটাকে চিকন করে পুষ্পমতি নামে বিক্রি করা হয়। ধান যে নামে সেই নামে চাল বিক্রি করতে হবে। চালের বাজারে প্রতারণা চলতে দেওয়া যায় না, এটা বন্ধ করা হবে। বললেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) উন্নয়ন সংলাপের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পলিশ করে চাল ফেলে দেওয়া হয়, চিকন করা হয়। চালের বাজারে প্রতারণা চলতে পারে না। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি এনে চিকন চাল তৈরি করা হয়। তিনটা মেশিনে পার করে মোটা চাল চিকন করে। এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চালের প্রকৃত পুষ্টি চালের ওপরের স্তরে থাকে অথচ তা ছেঁটে ফেলে দেওয়া হয়, এটা চলতে পারে না।
দেশে বৈষম্য কমছে দাবি করে তিনি বলেন, বৈষম্য সব দেশেই বাড়ে। সামাজিক বৈষম্য কমাতে আমরা কাজ করছি। আমরা আড়াই কোটি মানুষকে সাহায্য দিয়েছি। বিনামূল্য বই দিয়েছি বৈষম্য কমিয়ে রাখার জন্য। ২০৪১ সালে কুড়ে ঘর মিউজিয়ামে রাখতে হবে। সবার হাতে মোবাইল, ঘরে কালার টিভি, কারোর পা খালি আছে? তার মানে বৈষম্য কমছে। বৈষম্য কমাতে গিয়ে আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় উন্নয়ন সংলাপে অংশ নেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-হামান, সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক সাইদ রিপন, দপ্তর সম্পাদক এম আর মাসফি প্রমুখ।
এএম