আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, আসামী আটক

স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, আসামী আটক
মোবাইলে পরিচয়, প্রেম অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাটোরে ডেকে এনে গণধর্ষনের ঘটনায় পলাতক প্রধান আসামী মোঃ তামিম হোসেনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৫) আভিযানিক দল। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে রাজশাহী নগরীর কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, গত ১ বছর আগে তামিমের সঙ্গে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ্যাপস্ ইমোতে কথাবার্তা হতো তাদের। গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে নাটোর সদর থানার তেবাড়ীয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে যায় প্রেমিক তামিম। পরে তামিমের সহযোগি নাটোরের আব্দুল মজিদ, সিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও দুজন স্কুল ছাত্রীকে নাটোর চাঁনপুর এলাকার একটি বিলের মধ্যে কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর ওই স্কুল ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর স্কুল ছাত্রীকে তামিম তার সহযোগি আব্দুল মজিদের কাছে দিয়ে দেয়। মজিদ সেখান থেকে স্কুল ছাত্রীকে একটি অজ্ঞাত বাড়ীতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সকালে স্কুল ছাত্রীকে রাজশাহী গামী বাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য বনবেল ঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে অবস্থানকালে স্থানীয় লোকজন সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় র‌্যাব তামিমকে আটক করে। যদিও এ মামলায় অপর দুই আসামীকে আটক করে পুলিশ। আর তামিম পলাতক ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল তামিমকে রাজশাহী থেকে আটক করে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তামিম ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্কুল | ছাত্রীকে | পালাক্রমে | ধর্ষণ | আসামী | আটক