সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সারা দেশের ন্যায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জমিতে বোরো ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কৃষক। অনেকে সেচযন্ত্র দিয়ে পানি দিলেও বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের পাতায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কৃষি অফিস থেকে সেচযন্ত্র পানি দেওয়ার পরামর্শ দেন কৃষকদের।
গেলো বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মেলে। এতে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার বোরো মৌসুমে বিশ হাজার তিনশত ৪২ হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। এর মধ্যে বিশ হাজার তিনশত ৩৮ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এবার ২৮ ধানের বিকল্প হিসেবে কমদিনে ফলন হয় বিধান-৯৬ ও বিধান-১০০ রোপন করা হয়। এদের মধ্যে ৮৯, ৯২ সহ আরো বিভিন্ন জাতের ধান ফলন করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, তাঁরা অনেকেই বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় ভাল ফলন আসা করছেন। দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে ভাল হবে বলে আসা করছেন তারা।
কৃষকরা আরও জানান, বোরো চাষ পুরোপুরি বৃষ্টি নির্ভর হলেও এবার যে পরিস্থিতি, তাতে পরবর্তী সময় আবারও সেচের প্রয়োজন হতে পারে। আর এভাবে তাঁদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ অনুপাতে দাম পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে তাঁদের। বৃষ্টিপাত দেরিতে হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার জানান, উপজেলার বিভিন্ন হাওরে কিছু দিন ধরে ধানের পাতা সাদা হতে দেখা দিয়েছিল। আমরা কৃষকদের অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছি। অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় এ সমস্যা দূর হয়েছে। এবার ২৮ ধানের বিকল্প হিসেবে কমদিনে ফলন হয় বিধান-৯৬ ও বিধান-১০০ রোপন করা হয়েছে। আমরা উপজেলা বিভিন্ন হাওরে প্রদশনী প্লট করেছি। প্রকৃতি ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে এবার।