গেল দুই দিনে শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে, হাজার হাজার মানুষ। এতে পদ্মা তীরবর্তী নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামে সবগুলো নদনদীর কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সকালে, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে, টাঙ্গাইলে যমুনার পানি কমলেও ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বাঁধ উপচে নিচু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায়, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, নাগরপুর, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলায় প্লাবিত হচ্ছে, নতুন এলাকা।
সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।