মিয়ানমারের চলমান সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে এসব জাতিসত্তাগুলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি অং সান সুচি’র প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও চলমান বিক্ষোভে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।
এদিকে, গেল শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেইপিডোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা গেছে এক নারী। অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে এটিই প্রথম মৃত্যু। এর ফলে জান্তাসরকার বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হবে। বিক্ষোভে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার।
সেনাবাহিনীর গুলিতে এক নারীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের নিন্দাও জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
অপরদিকে, মিয়ানমারের সংকট নিরসনে নতুন পথের সন্ধান করছে প্রতিবেশী দেশগুলো। ইতোমধ্যে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে একটি বৈঠকের প্রস্তাব করেছে ইন্দোনেশিয়া।
এক ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে সামারিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। যদিও নতুন নির্বাচনের আয়োজন করে বিজয়ীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
এসএন