গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি ফারুক হোসেনকে (২৩) তিন সপ্তাহেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে। পাশাপাশি নিরাপত্তহীনতা ও হতাশায় ভুগছেন ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবার।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ফারুক হোসেনকে একমাত্র আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামি ফারুক হোসেন সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের উত্তর দামোদরপুর গ্রামের ইয়াইয়া খানের ছেলে। এরআগে, ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তর দামোদরপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই ১৩ বছরের মেয়েটিকে উক্তাক্ত করে আসছিলো। ঘটনার দিন গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মায়ের সঙ্গে বাহিরে যায় মেয়েটি। এ সুযোগে ফারুক ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। পরে ঘরে এস মা-মেয়ে শুয়ে পড়েন। এরপর মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফারুক। ঘটনা টের পেয়ে বাড়ির লোকজন জেগে উঠলে ঘর থেকে কৌশলে দৌড়ে অন্ধকারে পালিয়ে যায় ফারুক।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর এলাকাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামি ফারুক। বারবার বলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করার বিষয়টি রহস্যজনক। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টাসহ তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তহীনতার পাশাপাশি চরম হতাশায় ভুগছেন বলেও দাবি তাদের।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, মামলার পর ঔই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আসামি ফারুক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করছি।