কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় এক যুবককে এক বছর চার মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় এ আদেশ দেন আদালত। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম মো. ইকবাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ কারাদণ্ড দেন।
এদিন মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। মামলার বাদী টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই রাজীব হোসেনসহ ৫ জন সাক্ষ্য দেন। ইকবাল হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত তার কাছে জানতে চান, সাক্ষীদের জেরা করবেন কি না? তখন ইকবাল বলেন, আমি আর কী জেরা করবো স্যার। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত। আমি আর অপরাধ করবো না।’ এরপর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছর চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে এ মামলার আরেক আসামি রোকন মিয়াও দোষ স্বীকার করেন। আদালত তার কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্গাপূজার মধ্যে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজা মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়া দীঘির ওই পূজামণ্ডপে থাকা হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন রাখা ছিল। তখন হনুমানের মূর্তির হাতে থাকা গদাটি পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই রাজীব হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর অহিদ মিয়া রোকন মিয়া ও ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গেলো বছর ২৯ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।