আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

পলাশবাড়ীতে অচেনা প্রানীর আক্রমণ কমেছে, তবে ভয় কাটেনি

পলাশবাড়ীতে অচেনা প্রানীর আক্রমণ কমেছে, তবে ভয় কাটেনি

অদ্ভুত এক ভয়ঙ্কর প্রাণীর আতঙ্কে আছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ির তালুকজামিরা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। জন্তুটির আক্রমণে ইতোমধ্যে মারা গেছেন স্থানীয় মসজিদের একজন ইমাম।  আহত হয়েছেন ২৫ থেকে ৩০ জন। ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেননা অনেকেই। মানুষ দেখলেই হামলে পড়ছে জন্তুটি। কামড়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে শরীরের মাংস। থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে চোখ-মুখ। এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। তবে বেশ কয়েকদিন থেকে অচেনা প্রানীটির আক্রমনের খবর পাওয়া যায়নি। 

অদ্ভুত প্রানীটির আক্রমনের ভয় এখনও কাটেনি মানুষদের মাঝে। তাই দিনের বেলায় তালুকজামিরা, কেওয়াগাড়ি ও মরাদাতিয়ার গ্রামসহ আশ পাশের মানুষ বাড়ি থেকে একা বের হতে ভয় পাচ্ছে।  অতি প্রয়োজনীয় কাজে বের হলেও সাথে থাকছে লাঠিসোটা। অনেক অবিভাবকই  সন্তানদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেক বাড়িতে দলবেঁধে লাঠি হাতে পাহারা দেয়া হচ্ছে। অদ্ভুত এই প্রানীর হামলার  ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন রাত পার করছেন। 

অদ্ভূদ প্রাণীর আক্রমণে হতাহতের ঘটনায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পরির্দশন করেছেন বন বিভাগের র্কমর্কতারা। 

রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী থেকে আসা বন বিভাগের একটি টিম হরিনাথপুরের কেঁওয়াবাড়ি গ্রামে যায়। পরে তারা হরিণাবাড়ি, তালক জামিয়া, কুমিতপুর ও দেওয়ানের বাজার,কিশামত কেওয়াবাড়িসহ হরিনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেন। 

রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরির্দশক মো. জাহাঙ্গীর কবীবের নেতৃত্বে চার সদস্যের পরির্দশন টিমে ছিলেন, রাজশাহী বন বিভাগের ওয়াইলাইফ রেঞ্জার মোঃ হেলিম রায়হান, অফিস সহকারী সোহেল রানা ও বন প্রহরী লালন উদ্দিন। 

পরির্দশন টিমটি অচেনা প্রাণীর হামলায় আহত ও নিহতদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়। এসময় তারা এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রাণীটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীকে আগুন জ্বালানো এবং উচ্চ শব্দ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরার্মশও দেন পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এছাড়াও  আক্রমণে শিকার হয়ে মৃত ব্যক্তি ও আক্রান্তদের বন বিভাগ থেকে সহায়তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম তুলে দেন। 

পরির্দশন শেষে টিম প্রধান রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরির্দশক মোঃ জাহাঙ্গীর কবীব সাংবাদিকদের বলেন, ‘চারপাশে ধান ক্ষেত ও জঙ্গল থাকায় অচেনা প্রাণীটিতে শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন। সাময়িক সময়ের জন্য মানুষকে প্রথমত সাবধানে চলাফেরার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে এবং উচ্চ শব্দ করার পরার্মশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণীটির হামলার শিকার মানুষকে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরার্মশও দেওয়া হয়েছে।

মানুষের সচেতনতা এবং প্রকৃতি প্রাণী সংরক্ষণের জন্য এলাকায় লিফলেট বিলি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পলাশবাড়ীতে | অচেনা | প্রানীর | আক্রমণ | কমেছে | ভয় | কাটেনি