‘মুসেওয়ালার থেকেও খারাপ পরিণতি হবে।’ কথা না শুনলে ‘ঝটকা’ খাবেন। এমনই এক ইমেল পাঠানো হয় সালমান খানের উদ্দেশে। সালমানের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করতে চান, এই ছিল দাবি। ইমেলটি পাঠান বিষ্ণোই গ্যাংয়েরই এক সদস্য। তার পরই মুম্বাই ও জোধপুর পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে গ্রেপ্তার হন হুমকিপ্রদানকারী সেই ব্যক্তি। নাম ধাকড়রাম বিষ্ণোই বয়স মাত্র ২১।
রোববার (২৬ মার্চ) অভিযুক্ত এই যুবককে মুম্বাই পুলিশের হাতে তুলে দিল জোধপুর পুলিশ। হুমকি ইমেলটি আসার পরই ১৮ মার্চ একটি এফআইআর দায়ের করা হয় বান্দ্রা থানায়। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।
জানা যায়, জোধপুর থেকেই পাঠানো হয়েছে এই চিঠি। মুম্বাই ও জোধপুর পুলিশের যৌথ উদ্যোগে একটি টিম গঠন করা হয়। জোধপুরের লুনি এলাকার সিয়াগোর ধানি রোহিচা কালানের বাসিন্দা এই যুবক। গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পাঠানো হয় ধাকড়রাম বিষ্ণোইকে।
এর আগে পাঞ্জাব পুলিশও ধাকড়রাম বিষ্ণোইয়ের খোঁজে জোধপুর আসে। নিহত গায়ক মুসেওয়ালাকে বার বার হুমকি পাঠাতে থাকেন এই ২১ বছরের যুবক। ২০২২ সালে অস্ত্র আইনে জোধপুরের সর্দারপুরায় এই ধাকড়রাম বিষ্ণোইয়ের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে এই হুমকির চিঠি পাওয়ার পর থেকেই, অভিনেতার নিরাপত্তা আঁটসাঁট করেছে মুম্বাই পুলিশ। রাতারাতি বাড়ানো হয় অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। অভিনেতা যাতায়াতে রাখা হচ্ছিল কড়া নজরদারি।
ধাকড়রাম বিষ্ণোই গ্রেপ্তারের পর আপাতত স্বস্তিতে সালমান।
