আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত চালু হলো মেট্রোরেলের সব স্টেশন

আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত চালু হলো মেট্রোরেলের সব স্টেশন
মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন চালু হয়েছে আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) থেকে। এর মাধ্যমে এমআর‌টি-৬ লাইনের দিয়বা‌ড়ী-আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনের সবকটিতেই ট্রেন থামবে এবং যাত্রী উঠানামা করবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে মে‌ট্রো‌রে‌লের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোম্পা‌নির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন. ছিদ্দিক বলেন, মার্চের মধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনের সবগুলোই চালু করার প্রতিশ্রুতি পূরণ হ‌চ্ছে। বর্তমান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলছে। আগামী জুলাই মাসে ভোর থেকে মধ‌্যরাত পর্যন্ত চল‌বে ট্রেন। সারা‌দিন ট্রেন প‌রিচালনার প্রস্তুতি হি‌সে‌বে ৫ এপ্রিল থে‌কে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেন চল‌বে। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, নতুন দুই স্টেশন চালু করতে দুটি আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। যারা স্টেশন পরিচালনায় সমন্বয় করবে। উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় মেট্রোরেলের। এরপর ধাপে ধাপে পল্লবী, উত্তরা সেন্টার, মিরপুর-১০ স্টেশন খুলে দেয়া হয়। গত ১৫ মার্চ কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন খুলে দেয়া হয়। ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। ২০১২ সালে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অর্থাৎ দ্বিতীয় অংশ ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।    

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আগারগাঁও | দিয়াবাড়ি | পর্যন্ত | চালু | হলো | মেট্রোরেলের | স্টেশন