ডাইনোসরদের গলা কি জিরাফের মতোই লম্বা ছিল? সব ডাইনোসরের গলা তেমন না হলেও কিছু প্রজাতির তেমনটাই ছিল বলে জানা যায়। তবে কতটা লম্বা গলা ছিল তাদের? সে নিয়ে বিস্তর গবেষণাও চলছে। সম্প্রতি এই নিয়েই প্রকাশ্যে এল একটি চমকে দেয়ার মতো তথ্য। জীবাশ্মবিদরা ডাইনোসরের বিভিন্ন দেহাবশেষ ও হাড় নিয়ে কাজ করতে করতেই আবিষ্কার করলেন এমন এক তথ্য। আর্জেন্টিনার একদল জীবাশ্মবিজ্ঞানীরা (প্যালিয়েন্টোলজিস্ট) খোঁজ পেয়েছেন বিশাল আকার ডাইনোসরের হাড়ের। যা দেখে অনুমান, এই বিশেষ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা অনেকটাই লম্বা ছিল। এমনকি পরীক্ষানিরীক্ষার পর এও নিশ্চাত হয়েছেন তারা, তখনকার দিনে সবচেয়ে লম্বা গলার ডাইনোসরদের মধ্যে অন্যতম ডাইনোহর ছিল এটি।
আর্জেন্টিনায় সম্প্রতি এমন খোঁজ মিলতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। লম্বা গলার ডাইনোসর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ানোর মতোই বড় আবিষ্কার বলে মনে করছেন সারা বিশ্বের ডাইনোসর গবেষকরা। তবে এই বিশেষ প্রজাতির ডাইনোসর মাংসাশী ছিল না। প্রাপ্ত নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, তৃণভোজী ছিল এই ডাইনোসরগুলি। আর্জেন্টিনার দক্ষিণ প্যাটাগোনিয়া অঞ্চলেই খোঁজ মিলেছে সারা বিশ্বের অন্যতম বড় প্রজাতির ডাইনোসরের। পুয়েবলো ব্লানসোর ন্যাচারাল রিজার্ভে মঙ্গলবার যেই নমুনা হাড় প্রদর্শন করা হয়, সেটি আদতে ২০১৮ সালে প্রথম আবিষ্কার করা হয়। প্রাপ্ত নমুনা হিসেবে হাড়টি এতই বড় ছিল যে রীতিমতো বড় ভ্যান ভাড়া করে গবেষণাগারে নিয়ে যেতে হয় সেটি। সেই সময় একটি দুর্ঘটনাও ঘটেছিল পথে। যদিও তাতে কেউ আহত হননি। এমনকি হাড়টিও দিব্যি ছিল। বুয়েনস এরিস গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে বাকি তথ্য অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়।
গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রজাতির নাম রেখেছেন চুকারোসরাস দিরিপিয়েন্ডা। ইংরেজিতে যার অর্থ হার্ড বয়েলড অ্যান্ড স্ক্র্যাম্বলড। একটি বড়সড় দুর্ঘটনার ধাক্কাও সামলেছে বলে এই নাম রাখা হয় ওই প্রজাতিটির। সব মিলিয়ে ৫০ টন ভারি ও ৩০ মিটার লম্বা এই হাড়ের অধিকারী ডাইনোসর রিও নেগ্রো এলাকার সবচেয়ে বড় ডাইনোসর। এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।