গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরে কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা লুটের নাটক সাজিয়েছেন নৈশপ্রহরী জুয়েল (৩৭) ও তার সহযোগীরার। তার স্বীকাররোক্তি অনুয়ায়ী তার বাড়ি ও ব্যাংকের নিজ শয়ন কক্ষ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২৯ মে) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক শাখা কতৃপক্ষ প্রায়ই নৈশপ্রহরী জুয়েলের মাধ্যমে ভল্টের চাবি দিয়ে ভল্ট খোলা বন্ধের কাজ করতেন। গেলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ব্যাংক থেকে ব্যাবস্থাপকসহ স্টাফরা সবাই বাড়ি চলে যান। দুই দিন বন্ধের পর রোববার (২৮মে) সকালে ব্যাঞ্চ ম্যানেজার জেসমিন আক্তারসহ অন্যান্য স্টাফ ব্যাংকে গিয়ে নৈশপ্রহরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান এবং ভল্ট থেকে টাকা লুটের বিষয়টি জানতে পারেন। এসময় হাত-পা বাঁধা জুয়েলের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় স্পর্শ কাতর বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করে। নিরাপত্তাকর্মী জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে একেক সময় একেক কথা বলে। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে।
তিনি আর বলেন, এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে জুয়েল স্বীকার করেন যে, তার সহযোগীদের সহায়তায় নিজেই ব্যাংকের ভল্টের তালা খুলে টাকা চুরি করেন। পরে সহযোগীদের সহায়তায় নিজের হাত- পা বেঁধে ডাকাতির নাটক সাজান। পরে তার স্বীকারোক্তির অনুযায়ী চুরি করা ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে জুয়েলের বাড়ি ও ব্যাংকের শয়ন রুম থেকে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার জুয়েল উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।