আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ আসামিকে ২ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলা আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এর আগে রোববার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, আশিকের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদকসহ নানা অপরাধে ১৬টির বেশি মামলা রয়েছে। এর এক মামলায় গত ১ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে বের হন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩ জনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মূল আসামিরা হলেন আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ও বাবু। 

এর আগের রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এক মার্কেটে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় স্বামী ও সন্তানসহ ওই নারীকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। পরে স্বামী ও সন্তানকে আলাদা করে তাকে অটোরিকশাযোগে মাঠের পেছনে নিয়ে যান তারা। এরপর সেখানকার একটি ঝুপড়ি ঘরে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

একপর্যায়ে ওই নারীকে কক্সবাজারের মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল জিয়া গেস্ট ইন-এ নিয়ে যান যুবকরা। এরপর হোটেলটির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করেন তারা। ৯৯৯-এ তার ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে ভুক্তভোগী নারীর তথ্যের ভিত্তিতে পর্যটন গলফ মাঠ থেকে তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। 

আবাসিক হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজ এই ঘটনার সত্যতা মেলে। পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশকে। এরপর আসামিদের ধরপাকড়ে অভিযান শুরু হয়। গত শনিবার ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কক্সবাজারে | সংঘবদ্ধ | ধর্ষণ | ৩ | আসামি | ২ | দিনের | রিমান্ডে