বাবা-ছেলের ধর্ষণে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিতৃহীন এক কিশোরী। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। এ অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফ।
বরগুনা থানার ওসি এ কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বরগুনা পৌরসভার পশ্চিম বরগুনার বাসিন্দা।
ওই কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী নেই। বাঁচার তাগিদে প্রতিদিন বাজারে সবজি বিক্রি করেন তিনি। প্রধান আসামি নুরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে তার মেয়ে প্রায়ই নুরুল ইসলামের বাসায় থাকত।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানান, নুরুল ইসলামকে সে খালু ডাকত। তার বাসায় গেলে নুরুল ইসলাম তাকে আদর করার নামে জড়িয়ে ধরত। একপর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এভাবে কয়েক মাস ধরে নুরুল ইসলাম কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে।
কিশোরী আরও জানান, নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফ লোকজনের কাছে তার বাবা ও কিশোরীর কুকর্মের কথা বলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে আরিফ তাকে আরও দুইদিন ধর্ষণ করে।
বাবা-ছেলের ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে লোকজন জেনে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা থানার অফিসার ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। এর আধাঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
