তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারো দয়া চাননি। তাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার কথা বলছেন। কিন্তু সরকার তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কথায় কথায় বলেন— খালেদা জিয়াকে দয়া দেখিয়ে বাসায় রেখেছি। আমরা দয়া চাইনি, জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্যটা চেয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেটি বসবাসের উপযোগী ছিল না। তিনি ওই সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় ডাক্তাররা একাধিকবার গণমাধ্যমে বলেছেন— খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে করোনা শুরু হয়ে গেলে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সরকার।
https://youtu.be/PD7J6nHmaug
তিনি বলেন, এ দেশে আমরা কোনো রাজা-রানির রাজত্বে বাস করি না। আমরা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই গণতন্ত্রই আজ দেশে অনুপস্থিত।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজের মতো করে নির্বাচন করতে চাইলে এবার আর হবে না কারণ বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সবসময়। আগামী ১২ তারিখ নতুন গণতন্ত্র যাত্রা শুরু হবে, যা সরকার পতনের শুরু।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপির লক্ষ্য অসুস্থ রাষ্ট্রকে সুস্থ করে তোলা। চলমান আন্দোলন সরকার পতন আন্দোলনকে আরও তরান্বিত করবে।