আর্কাইভ থেকে রাজনীতি

এক দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সমগ্র জাতির ঘোষণা: ফখরুল

এক দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সমগ্র জাতির ঘোষণা: ফখরুল
এক দফা শুধু বিএনপি বা দলের ব্যক্তির ডাক নয়। এটা সমগ্র জাতির ঘোষণা। ভিসানীতি বা কী আসছে এগুলো দেখার বিষয় নয়। এটা যাদের দেখার বিষয় তারাই দেখবে। আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান করব। আমাদের লক্ষ্য টেকব্যাক বাংলাদেশ। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে একটি নীরব পদযাত্রা বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আজকে আমাদের সামনে কোনো পথ খোলা নেই। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে আবারও জোটবদ্ধ হয়ে সমগ্র মানুষকে জাগ্রত করে এই সরকারের পদত্যাগ ঘটাতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকে চরম সংকট ও ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান। প্রশাসনে নগ্ন দলীয়করণ, দলীয় বিবেচনায় চাকরি ও পদোন্নতি, ভিন্নমতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, লেখক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও কৃষিবিদসহ পেশাজীবীদের চাকুরিচ্যুত ও নিষ্পেষণ, জেল-জুলুম, হত্যা-গুম বন্ধ; সীমাহীন দুর্নীতিতে জর্জরিত, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে পেশাজীবী সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। https://youtu.be/NUzT6z7Ob4g পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেকোনো পরিবর্তন কখনোই সম্পূর্ণ হয় না যতক্ষণ পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা এগিয়ে আসেন। বিশ্বের বহু দেশে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও তাদের ভুমিকা ছিল অপরিসীম ও সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, আমরা এখন অস্তিত্বের ক্রান্তিকাল পার করছি। আমরা জাতি হিসেবে বেঁচে থাকতে পারব কি না, ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য ভবিষ্যত নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব কি না, এগুলো আজকে খুবই জরুরি। আজকে ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র যন্ত্রের ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। তার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও রাষ্ট্রীয় সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি অসহায় বোধ করি বিচার ব্যবস্থার কাছে। আজকে শুধু জুডিশিয়াল ক্রাইমের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। হাইকোর্ট যে রায় দেয় লোয়ার কোর্ট সেটি বাতিল করে দেয়। আমরা যাব কোথায়? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরা এর জামিন বাতিল করেছে। তার কী অপরাধ? শুধু ইউটিউবে একটি অনুষ্ঠানে অ্যাংকরিং করেছে মাত্র। আজকে বিএনপি করলে কারও চাকরি হয় না। প্রমোশন হয় না। ব্যবসা করলেও বলা হয় বিএনপি করে। ফলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ নেই। খালি তিনগুণ ট্যাক্স দাও। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা হয়। আদালতে গেলে অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আজকে সাংবাদিকরা ঠিকমতো লিখতে পারে না। নিউজের ট্রিটমেন্ট দিতে হয় বিশেষ জায়গার নির্দেশে। টিভিতে লাইভ দেখানো হয় নি। আর শেখ হাসিনা বলেন তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। আসলে প্রতারণা করে মানুষকে কীভাবে বোকা বানানো যায় সেটা তারা ভালো পারে। মির্জা ফখরুল বলেন, সুতরাং আজকে আমাদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। বেরিয়ে আসতে হবে। এই সরকার টিভিতে তাদের উন্নয়ন প্রচার করছে। আর সাধারণ গরিব মানুষের ঘরে ছাদ নেই। এ যেন গায়ে কোর্ট আর পায়ে স্যান্ডেল নেই। জনগণের সঙ্গে তারা উন্নয়ন নিয়ে বিভ্রান্ত করছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এক | দফা | শুধু | বিএনপির | এটা | সমগ্র | জাতির | ঘোষণা | ফখরুল