জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত। হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন না হয় আইন করেছে। হত্যাকারীদের চাকরি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে। বিরোধীদলের নেতা বানিয়েছে। আর জামায়াত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে শক্ত হাতে করতে হবে। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে কারো সঙ্গে আপস না করে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার এবং স্বাধিকার আদায়ের জন্যে সংগ্রাম করেছে। আপসহীন নেতাকে বিএনপি-জামায়াত হত্যা করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি-জামায়াত দেশ চালিয়েছে। একবারও বিচার করে নাই। বরং আইন করে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে। তারা চেষ্টা করেছে যেন বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়। তারা চেষ্টা করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আমরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভুলে যাই নাই। এ ষড়যন্ত্র তারা করবেই।
তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচন করতে চায় না। তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে যদি কেউ তাদের ক্ষমতায় ঢুকিয়ে দিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাস করে সংবিধান থেকে সেটা বের করে হয়েছে। আর সেখানে ফিরে যাওয়া যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের সৃষ্টি করা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পৌঁছে দিয়েছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বড় শত্রুদের মোকাবিলা করতে হবে। তাদের মোকাবিলা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবেন।’
শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষৎ অন্ধকার। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আবার একটা নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে। আমরা আর অতীতে ফিরে যাব না। আমরা উন্নয়নের রেললাইনে উঠে গেছি। আমরা ২০৪১ সালে সারা বিশ্বে একটি উন্নত দেশ হিসেবে উপহার দেব। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলব।’
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিতসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।