আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ৩৮১ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ৩৮১ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
রাঙামাটিতে টানা সাত দিন ধরে চলছে মাঝারি ও ভারি বর্ষণ। ফলে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট ও মাঝারি ধরনের পাহাড় ধস হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকাল থেকে ভারি বর্ষণে জেলার বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ। জেলার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সোমবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬৮.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৬.৮ মিলিমিটার। এ ভারি বর্ষণে সকালে শহরের রিজার্ভমুখসহ কয়েকস্থানে ধসের ঘটনা ঘটেছে। সকালে রিজার্ভমুখ এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে একটি ঘরের ওপরে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৭ পরিবারের ৬০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ‘টানা বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি বান্দরবান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের ৪৪টি স্থানে পাহাড় থেকে মাটি ধসে পড়ে। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটি সরিয়ে ফেলেছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ২৩৫ স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৮১ বসতঘর ধসে গেছে। যার মধ্যে ১০টি আশ্রয় প্রকল্পের ঘর রয়েছে। এছাড়া জেলায় মোট ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন হাজার মানুষ অবস্থান করছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানি না হলেও আহত হয়েছেন ১০ জন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রাঙামাটিতে | পাহাড় | ধসে | ৩৮১ | বাড়িঘর | ক্ষতিগ্রস্ত