সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নন্দুদুলাল, সাগর, রুবেল, আয়াজ, নিজাম, নূরুল আমিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর এপিবিএন’র ৩ সদস্যসহ ৭ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরুর প্রায় ছয় মাসের মাথায় রায় দিলেন কক্সবাজার জেলা আদালত।
এর আগে দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আদালতে ঢোকানো হয় তাদের। ২টার কিছুক্ষণ পরই রায় পড়া শুরু হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সাবেক ওসি প্রদীপ ও সাবেক এসআই লিয়াকতের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মামলার চার্জশিটভূক্ত ১৫ আসামির ১২ জনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা রাষ্ট্রপক্ষের। রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।
সকাল থেকেই আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন আসামিদের স্বজনরা। ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জনের স্বজন উপস্থিত হন। কেবল সাবেক ওসি প্রদীপের কোনো স্বজনকে আদালত চত্বরে দেখা যায়নি।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা রাশেদ।
এস