আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

দুর্নীতির তদন্তে ধামাচাপা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকেই বদলী

দুর্নীতির তদন্তে ধামাচাপা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকেই বদলী
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এলজিইডি, ভূগর্ভস্থ পানির উপড় চাপ হ্রাস করে ভূগর্ভস্থ পানি সেচ এর আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস দক্ষিণ ভদ্রাবতী ও তালম ইউনিয়নের উত্তর ভদ্রবতী উপ-প্রকল্পের খাল পুনঃখনন কাজে বারুহাস ইউনিয়নের চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদ থেকে তালম ইউনিয়নের রানীরহাট ব্রিজ পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, গত ৩ আগষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পাবনা ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সিরাজগঞ্জ এলজিইডির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাবের আলীকে ২নং সদস্য করে কমিটি ঘোষণা করে। অথচ তদন্ত শুরুর পূর্বেই ভূতপূর্ব ভাবে ৯ আগষ্ট প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে তাকে বদলী করা হয়েছে। এর আগে ৭ আগষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে থেকে ১২নং এলসিএস গ্রুপের ২০নং মৃত কাজেমের জন্য ৬ জনকে শোকজ করা হয়েছে। ১২ নং এলসিএস গ্রুপের চুক্তিপত্রের ৬ ধারায় দেখা যায়, ব্যক্তি দিয়ে কাজ করার কথা এবং সেখানে আরো দেখা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলসিএস গ্রুপের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি করে নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস থেকেই ব্যক্তি দিয়ে কাজ না করে যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে , যার কারনে মৃত ব্যক্তি কাজেমের জন্য জেলার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের শোকাজ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে শোকজ হওয়া সোসিওলজিস্ট হেমন্ত কুমার  জানায়, আমাকে এ প্রকল্পের কোনো কাজের সঙ্গে রাখা হয়নি, আমি শোকজের জবাব সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে চিঠি আকারে জানিয়েছি। সম্প্রতি বদলী সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাবের আলী জানান, ১৫ জুলাই কামারখন্দে পুকুর উন্নয়নে পুকুর চুরি, কাজ না করেই বিল উত্তোলনের করা হয়েছে, এ রকম একটা প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, এর তদন্তের জন্য আমি গত ৩ আগষ্ট সরেজমিনে পরিদর্শনে যাই, গিয়ে কিছু নিম্ন মানের কাজ চলমান আছে বলে রিপোর্ট প্রদান করি। এছাড়া জেলায় বেশ কিছু কাজে মাটির কাজ ৪০ শতাংশ করে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন ছাড়াই চুড়ান্ত বিল প্রদানে আমাকে নির্বাহী প্রকৌশলী বাধ্য করে, যা আমি উর্ধ্বতন অফিসারকে অবহিত করি। আর খাল খনন কাজেও কোন ভাবেই আমাকে সম্পৃক্ত করেনি, ঐ কাজেও আমাকে বিল দিতে বাধ্য করেন নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলাম জানান, আমি আগামীকাল অথবা আগামী শনিবার থেকেই তদন্ত শুরু করব। এছাড়া  সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলীকে আপনি এই প্রকল্পে  তদন্ত কর্মকর্তা করেছেন, এখন এই কর্মকর্তাক প্রধান প্রকৌশলী অফিস থেকে বদলি করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে  তিনি আরও জানান, আমি এখনও প্রধান প্রকৌশলী সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলিনি, আমি আগে তদন্ত করি, জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দুর্নীতির | তদন্তে | ধামাচাপা | তদন্ত | কর্মকর্তাকেই | বদলী