সকাল থেকেই বেশ কিছু ফোন করতে হয়েছে তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই ফোনের চার্জ একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু অফিসের সময় হয়ে যাওয়ায় তিনি বাড়ি থেকে চার্জ দিয়ে আসতে পারেননি। অফিসে ঢুকেই তাই তাড়াতাড়ি ফোন চার্জে বসিয়েছিলেন। আর এতেই চাকরি গেলো ভারতের নাসিকের এক যুবকের। চাকরি হারানো ওই যুবক নিজেই টুইটারে ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়েছেন।
নাসিকের বাসিন্দা ওই যুবক একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। বছর দুয়েক হল ওই সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত। তিনি মূলত সংস্থার জনসংযোগ বৃদ্ধির দায়িত্বে ছিলেন। ফলে বাড়ি থেকেও তাকে ফোনে অনেক কাজ করতে হত।
অফিসে এসে ফোন চার্জে দেয়ার বিষয়টি চোখে পড়ে সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ডেকে পাঠিয়ে অফিসে ফোন চার্জ দেয়ার কৈফিয়ত চাওয়া হয় যুবকের কাছ থেকে। যুবক জানিয়েছিলেন, ফোন বন্ধ হয়ে গেলে অফিসের কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। খানিকটা বাধ্য হয়েই তিনি চার্জে দিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও যুক্তি মানতে নারাজ। বেলা হতেই ওই যুবকের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় বরখাস্তের চিঠি। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ব্যক্তিগত কাজের জন্য অফিসের বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে বরখাস্ত করা হল।
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কর্তৃপক্ষ যে অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন, তেমনটাই মত অনেকের। মোবাইল ফোন শুধু ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না। মোবাইল অচল হয়ে পড়ে থাকলে অফিসের কাজেও বিঘ্ন ঘটে।
মোবাইলে চার্জ দেয়ার মতো এমন সামান্য একটি বিষয়ের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়া অত্যন্ত অমানবিক বলে মনে হয়েছে অনেকের। কেউ লিখেছেন, ‘‘তা হলে তো অফিসের পর কোনও কাজের ফোন ধরাও উচিত নয়।’’ কেউ আবার মজা করে লিখেছেন, ‘‘আপনি আপনার বসকে বলুন, তিনি যেন কোমোডে ফ্লাশ না করেন। সেটাও অফিসের জল চুরির সমান।’’