নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন থামছে না। একের পর এক পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। রাজধানীর সাধারণ মানুষদের মোটা চাল, ডাল ,আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। গেলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল ২ থেকে ৩ টাকা, মসুর ডাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিম্নআয়ের মানুষের প্রধান খাবারের তালিকায় মাছ, মাংস ও ডিম অন্যতম। আর সেই মাছ, মাংস ও ডিম কিনতে যখন হাঁসফাঁস করছেন, তখন দরিদ্র মানুষের ভরসার এ খাবারগুলোর দাম বাড়ায় কষ্টে পড়েছেন তারা। এই বাড়তি দাম তাদের সংসার খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
চাল দোকানিরা বলছেন, সরবরাহ কমায় পাইকারিতেই চালের দাম বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের মোকামগুলো থেকে বেশি দামে চাল কিনে আনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে চাহিদা বাড়ার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মসুর ডাল ধরনভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। একই ধরনের সরবরাহ সংকটের কথা বলা হচ্ছে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবেও।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই ডালের কেজি এখন ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। আর ভালো মানের, অর্থাৎ সরু দানার মসুর ডালের কেজি পড়ছে এখন ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে এই ডালের খুচরা দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি।
এদিকে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে থাকলেও এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ দামও এখানেই থামবে তার কোনো ইঙ্গিতও এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন (বড় আকারের) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
ফুলকপি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা ও প্রতি পিস লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পুঁইশাক মানভেদে ৩০ টাকা কেজিতে, কলমি শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা যায়, গরিবের মাছ পাঙাস (বড় সাইজের) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ছোট আকারের পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
তাছাড়া ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে আগের মতোই আছে মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৮০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।