বন্ধ্যত্বের সমস্যা শুধু মহিলাদের নয়, দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করা, শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার প্রতি ঝোঁক, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে পুরুষদের মধ্যেও এই সমস্যা সমান হারে বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে শুক্রাণুর গুণগত মানও। সন্তানধারণের জন্য শারীরিক ভাবে চাঙ্গা থাকার পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে বইকি। নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়াতেও। এমন কিছু খাবার আছে, যা বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি কমায়। বাবা-মা হতে নিয়মিত কী কী অবশ্যই খাবেন, রইল হদিস।
দুধ ও দুধ থেকে তৈরি খাবার নিয়মিত ডায়েটে রাখলে ডিম্বস্ফোটন চক্র স্বাভাবিক থাকে।
১. শাকসব্জি: শাকসব্জি ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রনের ভাল উৎস। এই সব উপাদানই বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া, ফলেও ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। তাই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে তাই শাকসব্জি ও ফল বেশি করে রাখুন।
২. বাদাম: সন্তানধারণের সময়ে ডিম্বাণুর অনেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন। কাজু, আমন্ড, চিনেবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, আখরোটের মতো বিভিন্ন ধরনের বাদামে ভিটামিন ই থেকে কে সবই থাকে ভাল মাত্রায়। সঙ্গে থাকে প্রোটিন এবং খনিজও। বন্ধ্যত্ব রুখতে তাই স্বাস্থ্যকর বাদামের উপরেই ভরসা রাখতে পারেন।
৩. অশ্বগন্ধা: যৌনস্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। অশ্বগন্ধার মধ্যে থাকা টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যে পুরুষেরা বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা রোজ রাতে নিয়ম করে অশ্বগন্ধা মেশানো দুধ খেলে উপকার পাবেন।
৪. দুগ্ধজাত খাবার: হালের বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে দই, পনির, ছানা, চিজ়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেলে মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের সমস্যা অনেকটাই কম। দুধ ও দুধ থেকে তৈরি খাবার নিয়মিত ডায়েটে রাখলে ডিম্বস্ফোটন চক্র স্বাভাবিক থাকে, ফলে সন্তানধারণের সুযোগ বাড়ে।
৫. কলা: কলা পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি ৬ ভরপুর মাত্রা থাকে। এই দুই উপাদান শুক্রাণু আর ডিম্বাণুর গুণগত মান বাড়িয়ে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যৌন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে কলা।