আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

‘কীভাবে ৩ ঘণ্টার মধ্যে জামিন আদেশ কুমিল্লায় গেলো’

‘কীভাবে ৩ ঘণ্টার মধ্যে জামিন আদেশ কুমিল্লায় গেলো’
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে (৪০) হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. শাহীনুল ইসলাম ওরফে সোহেল সিকদার জামিন বাতিল করেছেন আদালত। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত সোহেল সিকদারের জামিন বাতিল করে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ সময় মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্টের জামিন আদেশ কিভাবে কুমিল্লায় গেলো সে বিষয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পুরো ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে গেলো ১১ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার আরেক আসামি মো. শাহীনুল ইসলাম ওরফে সোহেল সিকদারের জামিন বাতিল ও আত্মসমর্পণ চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত। প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে জামিন চান আসামি সোহেল সিকদার। গেলো ২৭ জুলাই বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। এরপর ৩ ও ১০ আগস্ট আবেদনটি কার্যতালিকায় ছিল। ১০ আগস্ট জামিন আবেদনটি খারিজের আদেশ দিতে চাইলে আসামির আইনজীবী তা ‘নন প্রসিকিউশন’ করে নেন। এরপর ২৮ আগস্ট বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন চেয়ে ফের আবেদন করেন আসামির আইনজীবী। এরপর আবেদনটি শুনানির জন্য টানা তিন কার্যদিবস কার্যতালিকায় আসে। গেলো ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ইতোপূর্বে জ্যেষ্ঠ হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর এখানে ফের জামিন চেয়েছেন। তখন জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন ওই বেঞ্চ। দুই দিনের মধ্যে দুটি বেঞ্চ থেকে জামিন না মেলায় অবকাশকালীন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি নিয়ে যান আসামির আইনজীবী। অবকাশের প্রথমদিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চের আনলিস্টেড মোশন হিসেবে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য ছিল। ওইদিন শুনানি নিয়ে আসামি সোহেল সিকদারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওই জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ জামিন আদেশ দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ওইদিনই কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছে যায়। সেখানে জামিননামা দাখিল ও স্বাক্ষরের পর যায় কারাগারে। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মুক্তি পান আসামি সোহেল সিকদার। পরে সোহেলের জামিন স্থগিত ও আত্মসমর্পণ করার নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কীভাবে | ৩ | ঘণ্টার | মধ্যে | জামিন | আদেশ | কুমিল্লায় | গেলো