ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করেছেন বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। সেই টাকা এখন আট কোটির উপরে চলে গেছে। শুধু রাজনৈতিক কারণে বেগম জিয়া যাতে রাজনীতিতে না থাকতে পারেন এজন্যই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও একইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও টিএন্ডটির সামনের রাস্তায় এক কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি ও চলমান এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার আমাদের ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। একটি ভয়াবহ রাষ্ট্র তৈরি করেছে। এটাকে রাষ্ট্র বলা যাবে না, এটা আওয়ামী লীগের নির্যাতনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্রমিক শ্রেণি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আবারও তারা লড়াই করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ফখরুল বলেন, আজকের সমগ্র দেশের মানুষ জেগে উঠেছে একটি মাত্র দাবি নিয়ে। সেই দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই মুহূর্তে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সমগ্র রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এক দফা দাবি দিয়েছি। সেই দফা হচ্ছে হাসিনার সরকার আমাদের সমস্ত অধিকার এবং আমাদের সমস্ত অর্জন কেড়ে নিয়েছে। সেই সরকারকে এদেশের মানুষ আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না।
ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজকে দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে লড়াই করছি ইনশাআল্লাহ সেই লড়াইয়ে বিজয় হব। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।
এএম/