ফ্যাশন জগতে এই প্রথম বারের মতো বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম লেখালেন বাংলাদেশি কোনো মডেল।বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোতে বিজয়ী হয়ে এই তকমা পান রাফাহ নানজিবা তোরসা।
ভারতের সবচেয়ে চমৎকার স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম লাদাখ। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই শহরটিতে রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরযান চলাচল করতে পারে এমন সড়ক উমলিং লা। ১৯ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই সড়কে হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো।
গ্যালো বৃহস্পতিবার ভাইব্রেন্ট লাদাখ ফেস্টিভালের অধীনে উমলিং লাতে অনুষ্ঠিত এই ফ্যাশন শোটি গিনেজ বুক অব রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক এই ফ্যাশন শোতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। নেতৃত্বে ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী রাফাহ নানজীবা তোরসা। লাদাখের ফ্যাশন শোতে বিজয়ী হয়ে দলীয় বিশ্বরেকর্ডের ভাগীদার হলেন বাংলাদেশি এই মডেল।
তোরসা একাধারে অভিনেত্রী,টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও মডেল।২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। একই বছরে ডিসেম্বরে লন্ডনে অনুষ্ঠিত মিস ওয়াল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
লাদাখ স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ এই ফ্যাশন শোর আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল লাদাখ আর্ট অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট অ্যালায়েন্স এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সীমান্ত সড়ক সংস্থা। কর্মকর্তারা জানান ‘এই ফ্যাশন শোতে সারা বিশ্বের ১৪টি দেশের মডেলরা অংশগ্রহণ করেছেন। রেকর্ড উচ্চতায় রানওয়েতে যেসব মডেল হেঁটেছেন তাদের মধ্যে দুজন লাদাখি মডেলও ছিলেন।’
ফ্যাশন শোর আয়োজকরা জানিয়েছেন, উমলিং লা ফ্যাশন শোটির উদ্দেশ্য ছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। বাংলায় এর অর্থ ‘এক বিশ্ব এক পরিবার’,। এই ফ্যাশন শোয়ের মাধ্যমে ধর্মের প্রচারের পাশাপাশি অত্যন্ত মূল্যবান জিআই ট্যাগড লাদাখের পশমিন গুরুত্ব পেয়েছে। আয়োজকরা আরো জানান, মডেলদের পরিধানের পোশাকগুলো এক রঙের প্যালেট, যা বসন্ত ও গ্রীষ্মের রংগুলোকে প্রতিফলিত করে।
সফলতার পর মডেল তোরসা বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মতো এমন একটি জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পেরেছি, এটা আমার জন্য গর্বের। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ আয়োজনে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আগামীতেও দেশ, শোবিজ ও গার্মেন্টস সেক্টরে এমন আরও অর্জনের চেষ্টা করে যাব।
তোরসা জানান,ফ্যাশন শোয়ে অংশ নেওয়া সব মডেলকেই আলাদা আলাদা সনদ দেওয়া হবে। শিগগিরই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের সেই সনদ হাতে আসবে বলেও জানান তোরসা।