চাকরিতে বা কর্মজগতে চাহিদা নেই সেসব বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রাখবো কি না ভেবে দেখা প্রয়োজন। শতকরা ৪৯ শতাংশ মানুষ যে বিষয়ে শিক্ষা নেয় সেই সেক্টরে চাকরি করে না। সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বললেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘রিভিজিটিং দ্যা ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি কারিকুলাম’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দুদিনব্যাপী এ কর্মশালা বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) শেষ হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ঔপনিবেশিক যে ধারা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে মুখস্থ বিদ্যা, সেই যায়গা থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা খুব দরকার। আমরা প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি। যুগ যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে আমাদের প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় শিখতে হচ্ছে। সেজন্য আমাদের ছোট ছেট কোর্স করা, ডিপ্লোমা কোর্স করা, এসব বিষয় চালু করার দরকার আছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে কর্মজগতের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে— সেই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির মনোভাব যদি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেয়া যায় তাহলে চাকরি করলেও সে ভালো করবে এটা আমাদের বিশ্বাস। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও ভাবতে হবে। শতকরা ৪৯ শতাংশ মানুষ যে বিষয়ে শিক্ষা নেয় সেই সেক্টরে চাকরি করে না।
কর্মশালার আয়োজন করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, পাঠ্যক্রমকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতি তিন বছর পর পর পাঠ্যক্রমের পরিমার্জন পরিশীলন করা দরকার। এখন এটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আমাদের কর্মজগতের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোর্স চালুর উদ্যোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে।