যাত্রীদের সাহায্য করার আড়ালে সোনা চোরাচালানের সময় মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবা দানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছার কর্মীকে আটক করেছে বিমানবন্দর (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) সকালে তাকে ১১ পিস সোনার বার সহ হাতেনাতে আটক করা হয় বলে জানান বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেনটেটিভ মো. রাজুর অযাচিত মুভমেন্ট এবং প্রশ্নবিদ্ধ আচরণে সন্দেহ হয় বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা দলের। রাজুকে এক নম্বর লাগেজ বেল্টের কাছে টয়লেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো কিছু বিনিময় করেন বলেও সন্দেহ করা হয়। পরে অ্যারাইভাল কনকোর্স হলের টয়লেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাকে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি শেষে কালো রঙের পাওয়ার ব্যাংকের ভেতর থেকে ১০ টি এবং রাজুর পকেট থেকে ১টি সোনার বার পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানান, দুবাই থেকে আসা যাত্রীর কাছ থেকে এসব সোনার বার নিয়েছেন তিনি। এর বিনিময়ে তাকে খুশি করে দেয়া হবে বলে জানান পাচারকারীরা। মোবাইলে সোনা পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন, কাজ শেষে তাকে পাওনা বুঝিয়ে খুশি করে দেয়া হবে বলে কথা দেন তারা। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, রাজু লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বাসিন্দা। জব্দ করা ১১টি সোনার বারের মোট ওজন এক কেজি ২৭৬ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।